জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগম ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দিয়েছে বিদ্যুতের মাশুল। আর এই মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সোচ্চার হলেও, কোন হেলদোল নেই নিগমের কর্তা বাবুদের। বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহারের দাবিতে উৎসবের শেষে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলারও বার্তা দেন বিরোধী দলের নেতারা। এমনিতেই রাজ্যে কয়েক বছর ধরে বেহাল দশায় পরিণত বিদ্যুৎ পরিষেবা। যা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। ঘনঘন লোডশেডিং এ নাজেহাল মানুষ। আর এই লোডশেডিং এর ধারা এবার বজায় থাকলো শারদীয়া উৎসবেও। মহা সপ্তমীর রাতে এমনটাই প্রত্যক্ষ করলেন আগরতলা শহরের একাংশ উৎসব প্রেমী জনগণ। শনিবার রাতে আচমকা লোডশেডিং এর জেরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে পূজো মণ্ডপ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট। আর এতে করে স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে আসা লোকজন অনেকটা বিপাকে পড়েন। টানা বেশ কয়েক মিনিটের লোডশেডিং এ অনেকের মনেই অজানা আতঙ্ক দেখা দেয়। যদিও লোডশেডিংকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর নেই। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া শারদীয়া উৎসবে এভাবে লোডশেডিং শেষ কবে রাজ্যবাসী উপভোগ করেছেন তা নিয়েই শুরু হয়ে গেছে এখন চর্চা। উৎসব শুরু হবার আগে দপ্তরের মন্ত্রী থেকে শুরু করে আধিকারিকরা রাজ্যবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের। কিন্তু কথা রাখতে পারল না নিগম। যদিও কেউ কেউ আবার এই লোডশেডিংয়ের জন্য চক্রান্তের গন্ধও খুঁজে পাচ্ছেন। উৎসব শুরু হবার আগে দপ্তরের মন্ত্রী দফায় দফায় আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। অথচ এর কোন সুফল পেল না শহরের একাংশ মানুষ। সপ্তমীর রাতেই যেভাবে শহরের একাংশ এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে, তাতে করে আগামী কয়েক দিন এর যে পুনরাবৃত্তি হবে না, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগমের কাজকর্ম নিয়ে ফের আরো একবার প্রশ্ন দেখা দেয় রাজ্যবাসীর মনে।
Leave feedback about this