May 17, 2024
agartala,tripura
রাজ্য

স্থানে স্থানে চলছে বারুণী স্নান

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মধুকৃষ্ণা ত্রয়দশীতে প্রতিবছর বারণী স্নান হয়ে থাকে। এই উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। আগরতলায় রাম ঠাকুর গার্লস স্কুল সংলগ্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।এবছরও মহা ধুমধামে চলছে বারুনি স্নান। বারুণী হলেন এক হিন্দু পৌরাণিক দেবী৷ তিনি বরুণ দেবকে নিজের পতি হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন৷

ঋক বেদে বরুণানী সম্পর্কে বিশদের উল্লেখ রয়েছে৷ তিনি হলেন সুরার দেবী৷ ঋক বেদে দেবী বারুণীর উল্লেখ পাওয়া যায় বিস্তর৷ হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী বারুণীর চরিত্রের পেছনে দুটি কাহিনী হয়েছে ৷ সমুদ্রমন্থনে সমস্ত প্রকার ভেষজসমূহ এবং চৌদ্দ প্রকার রত্ন উত্থিত হয়, যা দেবতাগণ এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায় ৷

যদিও পুরাণে ১৪ টি রত্নোত্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পুস্তকে এই রত্নের সংখ্যা ৯ থেকে ১৪ অবধি উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ সর্বাধিক উল্লেখপ্রাপ্ত রত্নগুলি শিব, বিষ্ণু, মহর্ষি, দেব এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয় ৷ বিষপান করে দেব ও অসুর উভয়কে রক্ষা করার জন্য ভগবান শিব বিশেষ রত্নের অধিকারী হন ৷ রত্ন ও ভেষজ ছাড়াও তিন প্রকার দেবী এই সমুদ্র মন্থনের ফলে ক্ষীরসাগর থেকে উত্থিত হন ৷

তারা হলেন,লক্ষ্মী: তিনি হলেন সৌভাগ্য এবং ঐশ্বর্যের দেবী৷ তিনি বিষ্ণুকে নিজের স্বামী রূপে গ্রহণ করেন। অপ্সরা: মন্থনের ফলে একাধিক সুদর্শনা নারীর সৃৃষ্টি হয় যথা, রম্ভা, মেনকা, পুঞ্জীস্থলা এবং আরো অনেক অপ্সরা। তারা প্রত্যেকেই গন্ধর্বদের নিজেদের সঙ্গী রূপে চয়ন করেন। বারুণী: একপ্রকার জোর জবরদস্তি করেই অসুররা তাকে নিজেদের ভাগে টেনে নেন অপিরচ্ছন্নতার সহিত তার জন্ম হয় এবং তিনি ছিলেন তর্কবাগিনী ৷ আবার অন্যমতে বারুণী বা বরুণানী ছিলেন বরুণদেবের স্ত্রী।

সমুদ্রমন্থন পর্বে তার উত্থানের ফলে অসুররা একপ্রকার জোড় করেই তাকে নিজ হস্তোগত করলেও অমৃৃতলাভ করে দেবতারা অজেয় হন৷ পরে অসুরকুল বিনাশ হলে বরুণ দেব বরুণানীকে বিবাহ করেন৷ ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় সব স্থানেই বারনি স্নানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।  আর এই স্নান করতে হাজার হাজার পূর্ণ্যার্থী বিভিন্ন স্থানে এসে ভিড় জমায়।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service