May 20, 2024
agartala,tripura
রাজনৈতিক রাজ্য

সম্পদ কর বৃদ্ধি এবং শহর সৌন্দর্যায়নের নামে হকারদের উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল কংগ্রেস 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্য সরকার ও আগরতলা পৌরনিগম এবারের বাজেটে নতুন কোন কর আরোপের প্রস্তাব কিংবা সিদ্ধান্ত নেই। যা রাজ্যবাসীকে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল। কিন্তু এই স্বস্তি যেন এখন অন্যতম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আগরতলা শহরবাসীর মনে। পুরনিগমের বাজেটে কর বৃদ্ধির কথা উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও, নিগমের আয় উপার্জনের নাম করে সম্পদ করের নোটিশ এখন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শহরের প্রতিটি বাড়িতে। নিগমের তরফে দেওয়া সম্পদ করের নোটিশ পেয়ে এখন অনেকেরই মাথায় হাত। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি করুন আকার ধারণ করেছে। কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ না করে পুরনিগম যেভাবে সম্পদ করের নোটিশ প্রদান করে ,তাতে দেখা যায় করের পরিমাণ এক লাফে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা দেখে অনেকেই এখন হতবাক। অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই এই নির্ধারিত কর প্রদান করা সম্ভব হবে না। তাই পুর নিগমের এই সম্পদ করের নোটিশের প্রতিবাদে সোচ্চার বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন সদর জেলা কংগ্রেস কমিটি। আগরতলা পুরনিগমের সম্পদ কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে শহর সৌন্দর্যায়নের নামে হকারদের উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামল কংগ্রেস কর্মীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার কংগ্রেস দলের কর্মীরা সম্পদ করের নোটিশ প্রত্যাহার এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হকার উচ্ছেদ বন্ধ করার দাবিতে আগরতলা পুরনিগমের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালো কংগ্রেস। বেশ কিছু সময় বিক্ষোভ চলার পর প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রবীর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল পুরনিগমের আধিকারিকের সাথে মিলিত হয়ে তাদের দাবি সনদ সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেয়। অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে কংগ্রেস দল প্রয়োজনে আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার বার্তা দেয়। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ কাজের অভাবে যখন একদিকে মানুষ দিশাহারা, তখন কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। রাজ্য সরকার সম্প্রতি ভয়ংকর ভাবে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করেছে। শুধু তাই নয় বাজেটে উল্লেখ না করলেও আচমকা আগরতলা পুর নিগম যেভাবে সম্পদ করের নামে সাধারণ মানুষের উপর মোটা অংকের অর্থের নোটিশ চাপিয়ে দিচ্ছে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। পুরনিগমের এই সিদ্ধান্ত তুঘলকি সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। কিভাবে এই সম্পদ কর ধার্য করা হয়েছে তা কেউ জানে না। তাই অবিলম্বে সম্পদ করের নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। দাবিগুলি পূরণ করা না হলে কংগ্রেস দল আগামীদিন আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রী চক্রবর্তী।

 

 

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service