May 20, 2024
agartala,tripura
বিশ্ব

রাশিয়া ইউক্রেইন বিতর্ক তুঙ্গে , যুদ্ধের প্রস্তুতি আমেরিকার

জনতার কলম প্রতিনিধি :- দু’দশক আগের যুদ্ধের ক্ষত এখনও অক্ষত রয়েছে আফগানিস্তানের । তার মধ্যেই ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ইউ এস এ । তবে এ বার আর ঠান্ডা যুদ্ধ নয়, সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র সরঞ্জাম সাজাতে শুরু করেছে আমেরিকা। কোনও রাখঢাক না করেই তাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, কেননা ইউক্রেনকে আক্রমণ করতে এগোচ্ছে রাশিয়া। বলা যায় ১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউক্রেন। তারপর তিন দশক কেটে গেলেও, ইউক্রেনকে এখনও ছিন্নমূল হিসেবেই দেখে রাশিয়া। এমনকি ইউক্রেনের পশ্চিম অংশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ এখনও রাশিয়াকেই মাতৃদেশ হিসেবে গন্য করেন। এমন পরিস্থিতিতে কার্যতই দিশেহারা অবস্থা ইউক্রেনের। তাছাড়া ভৌগলিক অবস্থানের জেরে রাশিয়াকে টপকে আমেরিকা, ব্রিটেনের বলে বলীয়ান হওয়া সম্ভব নয় তার পক্ষে, কারণ সে ক্ষেত্রে সবরকম ভাবে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল ইউক্রেনে কার্যতই খাদ্য, বস্ত্র, পণ্যের জোগানে ভাটা পড়বে। আবার চোখ-কান বুজে রাশিয়ার আধিপত্য মেনে নেওয়াও অসম্ভব। জানা যায় ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই দু’দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পত্রপাঠ তা খারিজ করে দেন ইয়ানুকোভিচ। তার পরই ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত ক্রাইমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে তাকে রিপাবলিক অফ ক্রাইমিয়া এবং সেভাস্তোপোল, দুই যুক্তরাষ্ট্রীয় অঞ্চল হিসেবে নামাঙ্কিত করে। বলা বাহুল্য আন্তর্জাতিক মহল যদিও আজও ক্রাইমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই ধরে। তবে সেই থেকে সংঘাত চরম থেকে চরমতর হতে শুরু করে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সূত্র অনুযায়ী জানা যায় ১০ জানুয়ারি জেনেভায় আমেরিকা এবং রাশিয়ার আধিকারিকরা বৈঠক করেন। কিন্তু সেখানে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। ১৯ জানুয়ারি সরাসরি পুতিনকে হুঁশিয়ারি দেন বাইডেন। ইউক্রেনকে আক্রমণ করলে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। এর পর মধ্য ইউরোপে সেনা এবং যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়াতে শুরু করে ন্যাটো। আমেরিকাও সেনা বাড়িতে শুরু করে।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service