জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযান চালিয়ে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ সন্ত্রাসীর। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সফল। সেই সঙ্গে তাঁরা স্পষ্ট করেছে যে অভিযান চালিয়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের সীমান্ত পেরিয়ে আসার চেষ্টাও ব্যর্থ করা হয়েছে। এখনও সীমান্তরক্ষা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছেন।
বিএসএফ জম্মু ফ্রন্টিয়ারের আইজি (ইন্সপেক্টর জেনারেল) বলেন, “সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বেশ কিছু জঙ্গি কার্যকলাপের খবর পেয়ে আমরা অপারেশন চালাই। বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় অনুপ্রবেশের একাধিক প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে, সাথে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি বলেছেন, “আমরা আমাদের সতর্কতাকে অবহেলা করতে পারি না। আমরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছি।” তিনি আরও জানান, সীমান্ত বরাবর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নের উত্তরে আইজি বলেছেন, “এমন খবর পাওয়া গিয়েছে যে শত্রুরা কোনও ধরনের অপকর্ম, সীমান্ত পেরিয়ে গুলি চালানো বা অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করতে পারে। আমরা প্রস্তুত এবং সতর্ক রয়েছি।”
পাকিস্তানকে যে বিশ্বাস করা যায় না তা স্পষ্ট জানিয়ে আইজি জম্মু বলেছেন, “আমরা মনে করি পাকিস্তানকে বিশ্বাস করা যায় না। অপারেশন সিঁদুর চলছে। বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রস্তুত এবং সতর্ক রয়েছে। সীমান্তে উচ্চ নজরদারি বজায় রাখার জন্য আমরা শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থাপনা করছি।”
আইজি জানিয়েছেন তাঁরা প্রস্তাব রেখেছেন যে সাম্বা সেক্টরের একটি পোস্টের নাম অপারেশন সিঁদুর এবং অন্য দুটি পোস্টের নাম দুই শহিদের নামে নামাঙ্কিত করার জন্য। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, অপারেশন চলাকালীন নিরাপত্তাবাহিনীর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
Leave feedback about this