জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে (জেএমএম) নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডের নেতারা যে টাকা পাচ্ছেন তা মদ কেলেঙ্কারি, টেন্ডার কেলেঙ্কারি এবং খনির কেলেঙ্কারি থেকে আসছে। সাহেবগঞ্জ জেলায় ১০০০ কোটি টাকার একটি খনির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে।
ঝাড়খণ্ড সরকারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এই লোকেরা জমি দখলের জন্য তাদের বাবা-মায়ের নাম বদলেছে। এমনকি সেনাবাহিনীর জমিও লুট হয়েছে। এখন ঝাড়খণ্ডকে এই লোকদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। জেএমএমের লোকেরা আপনার প্লেট থেকে রেশন লুট করেছে। হর ঘর জল যোজনায় তারা কেলেঙ্কারি করেছে তাতে তারা লজ্জাবোধ করে না। সবাই জানে জেএমএম নিজে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গরিবদের অন্ন-জল কাউকে স্পর্শ করতে দেবেন না মোদি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, ‘৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জোরদার হবে, এটাই মোদির গ্যারান্টি। বিজেপি দলিত, বঞ্চিত ও আদিবাসীদের জন্য নিবেদিত। আমরা আদিবাসী কল্যাণে চার গুণের বেশি বাজেট বাড়িয়েছি। আমরা একটি আইন করেছি যাতে উপজাতীয় এলাকায় আপনার সন্তানদের জন্য খনিজ অর্থ ব্যয় করা হয়। আমাদের সরকার ভগবান বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকীতে আদিবাসী গর্ব দিবস উদযাপন করে। কিন্তু কংগ্রেসের লোকেরা এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
আদিবাসীদের বিরুদ্ধে তাদের অস্ত্র হল নকশালবাদ, অনুপ্রবেশ এবং তুষ্টি। যতদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, ততদিন দেশজুড়ে নকশালবাদ বাড়তে থাকে। নকশালবাদের আড়ালে অধিকাংশ আদিবাসী পরিবারকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আদিবাসী কন্যারা। ৫০ টুকরো করে কেটে খুন করা হচ্ছে কন্যাসন্তানদের। এক আদিবাসী কন্যাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। আদিবাসীদের টার্গেট করছে কারা? লাভ জিহাদ শব্দটি প্রথম প্রকাশ পায় ঝাড়খণ্ডে।
Leave feedback about this