জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- উৎসবের মরশুম সমাপ্ত হতেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘর গোছাতে শুরু করলশাসক দল বিজেপি ।এই লক্ষে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের উদ্যোগে রাজ্য কমিটির বৈঠক ও মন্ডল স্বশক্তিকরণ অভিযান কর্মশালার আয়োজন করা হয় শুক্রবার। রাজধানী আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে এর উদ্বোধন করেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় মিডিয়া ইনচার্জ যুব মোর্চার আইনজীবী অমরদ্বীপ সিং, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের সভাপতি নবাদল বণিকসহ অন্যান্যরা। শ্রী বণিক জানান, এটা একটা ধারাবাহিক কার্যক্রম। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুথ স্তরকে আরো স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যেই এই কার্যক্রম। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হবে এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। যে সকল বুথ এবং মন্ডলকে এখন পর্যন্ত স্বশক্তিকরণ করা সম্ভব হয়নি, সে সকল বুথ এবং মণ্ডলকে এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এদিকে এক সাক্ষাৎকারে দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানান, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর আরো একবার নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বিজেপি। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। সমাজের সকল অংশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বুথ স্বশক্তিকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। অন্যদিকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন ২০১৮ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দীর্ঘ ২৫ বছরে বামেদের অপশাসনে যুবক ও তরুণদের মাঝে ঘুণেধরা এই সমাজকে পরিবর্তনে রাষ্ট্রবাদী চেতনার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত সোনালি সমাজ তৈরির একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছে। তারুণ্যের উচ্ছল প্রাণবন্যায় ভরপুর যুবসমাজ হলো দেশ, জাতি, সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। যুবসমাজের মূূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও নৈতিক মানদণ্ড অর্জনের ওপর দেশ ও জাতির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। জাতির প্রত্যাশা পূরণে নৈতিকতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক যুবকদের প্রয়োজন অপরিসীম। দীর্ঘ ২৫ বছরের বামেদের অপশাসনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, জবর দখলসহ নানান সব নেতিবাচক দিক চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কমিউনিস্টদের দীর্ঘ ২৫ বছরের জগদ্দল পাথরের অপশাসনের কবল থেকে আমাদের ত্রিপুরা মুক্তি পেয়েছিলো যুবসমাজের দুঃসাহসিক অদম্য ভূমিকার মাধ্যমে। সোনালি অতীত বহনকারী এই রাজ্যের যুব সমাজের ইতিহাসের পাতায় যখন কলঙ্কের কালিমা লেপন করছিলো স্বার্থান্বেষী কমিউনিস্টরা, আলোর মশাল হাতে অন্ধকার জয় করতে তখনই যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। যেখানে মেধা, মননশীলতা আর মূল্যবোধের জয়গান সেখানেই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। আমাদের রাজ্যের অসংখ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন আজ শুধুই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চাকে কেন্দ্র করে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আসমুদ্র হিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষকে তার অতীত গৌরব ফিরিয়ে দিয়েছেন যিনি, জগৎসভায় আধুনিক ভারতকে শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করতে বদ্ধপরিকর যিনি, সেই জন গণ মন অধিনায়ক যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী’জির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সবকা বিসওয়াস, সবকা প্রয়াস’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার লড়াকু ভাই ও বোনেরা সবাই দেশ ও দশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।উন্নততর ত্রিপুরা নির্মাণের যে মহাযজ্ঞে যুব মোর্চার ভাই ও বোনেরা ব্রতী হয়েছেন, সকলের সহযোগিতাতেই একমাত্র সেই যজ্ঞ সাফল্যমণ্ডিত হবে! এ দিনের কর্মসূচিতে যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
Leave feedback about this