জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের খাদ্য ও জন সংভরণ এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে খুব শীঘ্রই প্রতি কেজি ২১ টাকা ৮৩ পয়সা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে চলতি খারিফ মরসুমে সরাসরি ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সারা রাজ্যে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রয় করতে ইচ্ছুক কৃষকবন্ধুগণ নিকটবর্তী কৃষি বিভাগের অফিস অথবা মহকুমা শাসকের অফিস (খাদ্য বিভাগ) এর সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে পারবেন। এরই প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলঘরে সারা রাজ্যের মহকুমা শাসকগণ, কৃষি তত্ত্বাবধায়কগণ, খাদ্যদপ্তর এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কৃষকদের লাভবান করার উদ্দেশে প্রতি বছর সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে আমাদের রাজ্য সরকার। দেশে ও রাজ্যে খাদ্যশস্যের মজুত বাড়ানো ও বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি মৌসুমেই ধান ক্রয় করা হচ্ছে । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবছরও প্রতিটি জেলা ও মহকুমাকে ধান ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এই মরসুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানোর জন্য তিনি অধিকারিকদের নির্দেশ প্রদান করেন। ধান বিক্রির সময় কৃষকরা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত আধিকারিকদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, একজন চাষিও যেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য না হন , সে দিকে কড়া নজর রাখতে হবে৷ গোটা প্রক্রিয়াটিকে সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত আধিকারিকদের খাদ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করেন। আজকের এই ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত রবি মরসুমে প্রতি কুইন্টাল ২০৪০ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সারা রাজ্যের ৪০টি ধান ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হয়েছিল। এবছর নূন্যতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করে করা হয়েছে প্রতি কেজি ২১ টাকা ৮৩ পয়সা।
Leave feedback about this