জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজধানীর অভয়নগর বাজারের অধিকাংশ দোকানে ব্যাপক অনিয়ম। বিক্রি হচ্ছে মেয়াদউত্তির্ন খাদ্যসামগ্রী। মিষ্টি প্রক্রিয়া করনেও ব্যাপক অনিয়ম। অভিজানে খাদ্য দপ্তর ও মহকুমা প্রশাসন। মেয়াদ উত্তীর্ন এবং ভেজাল সামগ্রীতে ছেয়ে গেছে রাজ্যের বাজারগুলি। পানীয় জল থেকে শুরু করে শিশু খাদ্য সব কিছুতেই ভেজাল। কিন্তু এই সকল বিশয়ে কারওর কোনো মাথা ব্যথা নেই। যার ফলে খাদ্যের সঠিক গুণাগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকেরা। তার মধ্যে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে দোকানগুলিতে মেয়াদউত্তীর্ন খাবারের মজুত। ক্রেতাদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে একাংশ ব্যবসায়ী এই মেয়াদউত্তির্ন সামগ্রীগুলি দিব্যি বিক্রি করছে দোকানে। যদিও নাঝে মধ্যে মহকুমা প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে বাজার গুলিতে ফটোশুটিক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এই অভিজানের কোনো ধারাবাহিকতাও থাকেনা। যার ফলে একাংশ ব্যবসায়ী নিজেদের দোকানে মেয়াদউত্তীর্ন সামগ্রী ও ভেজাল সামগ্রী বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর অভয়নগর বাজারে অভিযান চালিয়ে এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করলেন খাদ্য দপ্তর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এই উজান অভয়নগর বাজারে যে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে তা স্বীকারও করেছেন খাদ্য দপ্তরের এক উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ভৌমিক। তিনি জানান, বাজারের, অরিত ভ্যারাইটিস নামক একটি গ্রোসারী দোকানে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়।। দোকানের মালিক সুশান্ত দেবনাথ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাবসা করছেন।দোকানে কোনো ডিসপ্লে বোর্ড ও নেই।। ওজন বাটখারা সার্টিফিকেট ও এক বছর ধরে রিনিউ করা হয় নি। যার ফলে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাজারের একটি মিষ্টির দোকান থেকে ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, শর্মিষ্ঠা দাস প্রমুখ। প্রশ্ন হলো অভিযানের ধারাবাহিকতা কেন বজায় রাখতে পারছেনা প্রশাসন এবং খাদ্য দপ্তর? এই অভিযান জারি থাকলে হয়তো বাজার গুলিতে তেমনটা অনিয়ম দেখা যাবেনা।
Leave feedback about this