2025-02-25
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য

কদমতলা থানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে থানার নাকের ডগায় দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি কান্ড

আবারো কদমতলা থানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে থানার নাকের ডগায় দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি কান্ড। কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মচারী আশীষ শব্দকরের বাইক নিয়ে দিন দুপুরে চম্পট দিল চোরের দল। হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজে এক যুবককে বাইক নিয়ে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেলেও যুবকের চেহারা সম্পূর্ণরূপে শনাক্ত করা যায়নি।বাইকের মালিক ও কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক দু’টি বাইক চুরি যাওয়ার মামলা কদমতলা থানায় রুজু করা হয়েছে।কদমতলা থানার পুলিশ সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার কদমতলা থানা থেকে একশো মিটার ভিতরে অবস্থিত কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল।প্রতিদিনের ন্যায়়় গতকালও কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আশীষ শব্দকর পিতা মৃত মনমোহন শব্দকর দুপুর ৩ টা নাগাদ হাসপাতালে ডিউটিতে যোগদান করেন। হাসপাতালের পাশের গ্রাম সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশীষ শব্দকর নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিন উনার নিজের বাইক দিয়ে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ডিউটিতে আসা-যাওয়া করতেন। আজও উনার TR/2892 নম্বরের লাল রঙের সুপার স্পেন্ডার বাইক নিয়ে ডিউটিতে এসে বাইকটি হাসপাতালের সামনে রেখে হাসপাতালের কাজে লেগে পড়েন। হাতের কাজ সেরে প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর হাসপাতালের সামনে এসে দেখতে পান উনার নিজের বাইকটি সেই স্হানে নেই। সাথে সাথে হাসপাতালে আশপাশ খুজাখুজি করে না পেয়ে হাসপাতালের সকল সহকর্মীকে বিষয়টি জানান। পাশাপাশি বিষয়টি জানানো হয় কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ইনচার্জ অরুনাভ চক্রবর্তীকে। তারপর হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়ে বছর ত্রিশে একের এক যুবক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আসিষ শব্দকরে লাল রঙের সুপার স্প্লেন্ডার বাইকটি চালিয়ে হাসপাতালের ভেতর থেকে বেরিয়ে ধর্মনগর সড়ক দিকে চলে যাচ্ছে।যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ওই যুবকের চেহারা স্পষ্টভাবে সনাক্ত করতে না গেলেও মোটামুটি শরীরের গঠন ও শরীরের কাপড় চোপড় আন্দাজ করা সম্ভব হয়েছে। তড়িঘড়ি বাইক মালিক আশিষ শব্দকর ও কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ইনচার্জ অরুণাভ চক্রবর্তী পৃথকভাবে দুটি বাইক চুরির মামলা কদমতলা থানার রুজু করেন। সাথে সিসি ক্যামেরা ফুটেজও কদমতলা থানার কাছে তুলে দেওয়া হয়। কদমতলা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। যদিও বর্তমানে ওই তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে কদমতলা থানার পুলিশ। জানা গেছে সন্দেহভাজন তিন যুবকের ঘর কৈলাশহর, কদমতলা ও মনু ছৈলেংটায়।পুলিশ যদিও KDL/PS/42 ভারতীয়় দণ্ডবিধির 379 ধারায় চুরির মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কিন্তু দিনদুপুরে কদমতলা থানার নাকের ডগা অর্থাৎ থানা থেকে মাত্র একশো মিটার দূরত্বের ভিতরে থাকা ব্যস্ততম জায়গা কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে থেকে হাসপাতাল কর্মীর বাইক চুরি যাওয়ায় জনমনে তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা ভূমিকা নিয়ম নানা মহলে প্রশ্নের উঁকি মারছে। এখন দেখার বিষয় কদমতলা থানার পুলিশ দিনদুপুরে বাইক চুরি কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে আটক করে চতুর্থ শ্রেণীর হাসপাতাল কর্মীর বাইক উদ্ধার করতে কতটুকু সক্ষম হয়।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service