জনতার কলম, ত্রিপুরা,তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- গোটা ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ যখন ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাফল্য অর্জনকারী কৃতি সেরা ১০-এর তালিকায় নাম থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যাস্ত, ঠিক সেই সময়ই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মা বাবা ছাড়া অনাথ মেয়েটি ত্রিপুরা রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে । জন্মসূত্রে যদিও তেলিয়ামুড়া মহকুমার মগবাড়ি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিল মেয়েটি । চার বছর বয়সে বাবা মারা যায় এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই মাতৃস্নেহ থেকেও বঞ্চিত হয় মেয়েটি, মারা যায় মেয়েটির মাও । এক নিকট আত্মীয় তাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করলেও নিজের সংসারের ভরণপোষণ যখন সেখানে ভালো ভাবে জুটত না, আর বাবা মা হারা শিশু মেয়েটি যখন বড়ো হতে লাগল তখন তাকে তার নিকট আত্মীয় পাঠিয়ে দিলো আগরতলার কোন এক ছাত্রী আবাসনে ।সেখান থেকে মেয়েটি আগরতলার বিজয় কুমার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করে সেই স্কুলের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিয়ে ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০.৮ %(শতাংশ) নম্বর প্রমাণ করলেন সদ ইচ্ছা শক্তি থাকলে অতি দুঃখের মধ্যেও নিজের স্থান ধরে রাখা সম্ভব । আর সেই হতভাগ্য মেধাবী ছাত্রীর নাম অর্পিতা রানী দাস । পিতা- মৃত হরিশ চন্দ্র দাস, বাড়ি তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মগবাড়ী এলাকায় । এই ব্যাপারে বলতে গিয়ে অর্পিতা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজ প্রতিক্রিয়ায় বলেন যে, — “শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সকলেই তাকে পড়াশোনার ব্যাপারে বিশেষভাবে সহযোগিতা সাহায্য করছে ।আর তাদের এই সাহায্য সহযোগিতা পেয়েই সে আজ এত ভালো ফল লাভ করতে পেরেছে” । অসহায় অনাথ অর্পিতা এত ভালো ফলাফল করায় খুশি তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বাসী সহ শিক্ষা অনুরাগী মহল ।।
Leave feedback about this