2024-11-17
agartala,tripura
রাজ্য

অতুলের ঘরে মথার নেতৃত্বের থাবা

জনতার কলম ত্রিপুরা,তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-“ঘর ভাঙছে অতুলের
সরকার গড়ছে প্রদ্যুতের”— হল সভার মঞ্চ থেকে আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠিক এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের তিপ্রা মথা’ দলের সক্রিয় নেতৃত্বরা । পাখির চোখ ২৯ কৃষ্ণপুর অতুলের বিধানসভা কেন্দ্র । উল্লেখ্য, আসন্ন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বঞ্চিত জন-জাতিদের পূর্বতন দাবি গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়নকে সামনে রেখে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ের লক্ষ্যেই গোটা রাজ্যের সাথে বর্তমান BJP-IPFT জোট শাসকের বিধায়ক অতুল দেববর্মার ঘর কৃষ্ণপুরে দাবার গুটি সাজাতে আট ঘাট বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের তিপ্রা মথা দলের নেতৃত্বরা । আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪ টা নাগাদ মুঙ্গিয়াকামী R D ব্লকের অধীন উত্তর গকুল নগরের চাকমাঘাট এলাকার মধ্যে একটি বিস্তৃর্ণ হল ঘরে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভার মোট ৩-টি বুথ সেন্টার যথাক্রমে, বৈরাগীডেফা, কুঞ্জমুড়া, তুইমধু এলাকার তিপ্রা মথা’র সক্রিয় সমর্থকদের নিয়ে একটি সাধারণ বুথ কমিটি গঠন করা হয় । উক্ত এই বুথ কমিটির হল সভায় উপস্থিত ছিলেন, তিপ্রা মথা তথা ADC প্রশাসনের EM কমল কলই, YTF কেন্দ্রীয় কমিটির General Secretary মহেন্দ্র দেববর্মা, TWF -র ২৯ কৃষ্ণপুরের ব্লক কমিটির সভাপতি তাপসী দেববর্মা, ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের OBSERVER গীতা রানী দেববর্মা, উত্তর গকুল নগরের BC চেয়ারম্যান নান্টু দেববর্মা সহ আরও অন্যান্য নেতৃত্বরা । তৎসঙ্গে আজকের এই বুথ কমিটি গঠনের হল সভায় জন-জাতিদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যনীয় যা চোখে পড়ার মতো । পরবর্তীতে বুথ কমিটি গঠন পর্বে জন-জাতিদের সামনে হল সভায় তিপ্রা মথা’র নেতৃত্বরা আলোচনা রাখতে গিয়ে বলেন— “আমাদের তিপ্রা মথার গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের লড়াই কোন জাতি-গত লড়াই নয় । আমাদের এই লড়াই নিজেদের পরিচয় ও অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই । নিজেদের জমি ফিরিয়ে আনার লড়াই । আমরা রাজ্যের ভূমিপুত্র হওয়া সত্ত্বেও গোটা রাজ্যেই এখন আমরা শুধুই বঞ্চিত । সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আমরা কেউই সুরক্ষিত নই । আমাদের একটা ঐতিহ্য ও ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও গনতান্ত্রিক রাজ্যে প্রত্যেকদিনই আমরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি ও আক্রমণের শিকার হচ্ছি । তাই আমরা তিপ্রাসারা পূর্বের রাজ আমলের মতো বর্তমানেও শান্তি শৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে মুসলিম, মনিপুরী, ত্রিপুরী, হিন্দু, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে পাশে নিয়েই তিপ্রা মথা’র এই রাজনৈতিক লড়াই । আমাদের তিপ্রা মথায় বিজেপি দলের মতো কোন ধর্মগত বৈষম্য ও ভেদাভেদ থাকবে না । আমরা সবার সঙ্গে থাকবো । তৎসঙ্গে মঞ্চ থেকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি’র অ-ঘোচালো দেশভক্তি’কে । এছাড়াও দলীয় এক নেতৃত্ব তীব্র কটাক্ষের ভাষায় বলেন, ভারতীয় সংবিধান মোতাবেক যখন থেকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হয়েছিল, তখন থেকেই ত্রিপুরায় মধ্যে জন-জাতিদের উপর নেমে এসেছে চরম আঘাত । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করে বঞ্চিত করে রেখেছে তৎকালীন সরকার । শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট ৬০ টি সিটের মধ্যে ২০ টি সিট দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন-জাতিদের অন্তর্ভুক্ত করেছে” । তবে, এখন আসন্ন ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথা দল যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জনগনের সমর্থনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসছেই, তা শুধুমাত্রই সময়ের অপেক্ষা।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service