জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ১৪ই জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন হলেও ভারতবর্ষে পহেলা অক্টোবর দিনটিকে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটির লক্ষ্য রক্তদানের গুরুত্ব এবং এই মহৎ কাজের সাথে সম্পর্কিত সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ব্লাড ট্রান্সফিউশন এন্ড ইমিউনোহেম্যাটোলজি ১৯৭৫ সালে পহেলা অক্টোবর প্রথম দিনটি পালন করে। প্রধান আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং ভারতে ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের জনক হিসেবে পরিচিত জন্ম গোপালজনির জন্ম দিবসকে জাতীয় রক্তদান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছরই গোটা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়ে আসছে দিবসটি। এবারও যেন তার ব্যতিক্রম নয়। জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবসে এবছরের ভাবনা হল, নিয়মিত রক্তদান করুন প্লাজমা দান করুন জীবন বাঁচান। আর এই স্লোগানকে সামনে রেখেই রবিবার রাজ্য উদযাপিত হলো জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদাতা দিবস। ত্রিপুরা স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল এবং রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এদিন রাজধানী আগরতলার মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো এক রক্তদান শিবির। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রক্তের কোন বিকল্প নেই রক্তদান শুধু একজনের জীবন বাঁচানো নয়। নিজেরও উপকার হয়। যারা রক্তদান দিতে আসেন তাদের শরীরের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেই রক্ত নেওয়া হয়। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে কোন রোগ আছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়। রক্তদানে উপকার ছাড়া আর কোন ক্ষতি নেই। তাই ব্লাড ব্যাংকের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে নতুনদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ প্রদানে সবাইকে সামিল হবার আহ্বান জানান তিনি।
Leave feedback about this