জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে প্রথম ব্রেন আর্টারি স্টেন্টিংসফল হয়েছে জিবি হাসপাতালে। এ ধরনের জটিল অপারেশন শুধু ত্রিপুরার প্রথম নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতে মাত্র কয়েকটি হাসপাতালে হয়েছে। বললেন এজিএম সির প্রিন্সিপাল ডা:মঞ্জুশ্রী রায়। সমগ্র রাজ্য বাসীর ভরসার অন্যতম নির্ভরশীল হাসপাতাল হয়ে উঠছে আগরতলা গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড জিবি হাসপাতাল। যেখানে বর্তমানে বারোটি সুপার স্পেশালিটি ব্লকে জটিল রোগের চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে চালু হয়েছে নিউরোলজির ইনডোর ও আউটডোর পরিষেবা। সপ্তাহে দুদিন আউটডোরে পরিষেবা দেওয়া হয় রোগীদের।নিউরোলজি বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকেইএকের পর এক জটিল অপারেশনে সফল হচ্ছে নিউরোলজি বিভাগ। সম্প্রতি এক জটিল অপারেশন করে সফল হয়েছে জি বি পি হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক সহ অধ্যাপক ডা: আবির লাল নাথ ও তার সহযোগী চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা। জানিয়েছেন জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এজিএমসির প্রিন্সিপাল ডা: মঞ্জুশ্রী রায় নিউরোলজি বিভাগের ইনচার্জ তথা মেডিকেল কলেজের সহ অধ্যাপক ডা: আবির লাল নাথের উচ্চ প্রশংসা করে বলেন,যে অপারেশনটা আগরতলায় হয়েছে সেটা ভারতবর্ষে খুব একটা পুরনো অপারেশন নয়,আগে এই অপারেশন করতে কম করেও ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগতো| বর্তমানে নিমেষেই বিনা ভেন্টিলেশনে অপারেশনটি করে দেখিয়েছে হাসপাতালের ইয়াং এনআরজেটিক সহ অধ্যাপক ডা : আবীর লাল নাথ। প্রিন্সিপাল, আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি বর্তমানে নিউরোলজি বিভাগে আমরা যতটুকু ডেভেলপ করতে পেরেছি, তার থেকে আরো ভালো খবর আসবে অচিরেই আমরা আরো সফল হবো নিউরোলজি বিভাগে। সাংবাদিক বৈঠকে, এই ব্রেন আর্টারি স্টাটিং সফল চিকিৎসার বিস্তৃত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, নিউরোলজিস্ট ডাক্তার আবিরলাল নাথ বলেন, প্রদীপ চন্দ্র দাস নামে একজন রোগী তিন তিনবার ব্রেন স্ট্রোক করেছিল, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে তার ব্রেন থেকে ঘাড়ের বাম সাইডের একটি আটারি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর ৭-৮ দিন গেলেই রোগীর অবস্থা কাহিল হয়ে যেত। তৎক্ষণাৎ অন্যান্য চিকিৎসকদের সহায়তায়, এই ব্রেইন আর্টারি স্ট্যান্টিং করা হয়। রোগীকে এখন সাধারণ বেডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।প্রদীপ চন্দ্র দাস দিব্যি কথাবার্তা বলছে প্রত্যেকের সাথে। প্রসঙ্গত হাসপাতালের এম এস থেকে শুরু করে ডেপুটি এম এস, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, চিকিৎসক প্রত্যেকে রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন কোন কিছু হলেই তড়িঘড়ি বহিররাজ্যে না গিয়ে, জিবিতে আসুন, ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করুন, অযথা ঘাটের পয়সা খরচ করবেন না।জিবিতে এখন অত্যাধুনিক সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
Leave feedback about this