জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রত্যাশা মতই বাম মুক্ত হল সোনামুড়া মহকুমা। উপনির্বাচনের দুই কেন্দ্রেই জয়জয়কার বিজেপির প্রার্থীদের। আনন্দ উচ্ছ্বাসে মত্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ইন্ডিয়া জোটের বার্তার কোনও প্রভাব পড়ল না ত্রিপুরায়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য রাজ্যের উপ-নির্বাচনের সঙ্গে হওয়া ত্রিপুরার দুটি আসনের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল জয়জয়কার।
বলতে গেলে ২৪ লোকসভা ফাইনালের আগে ত্রিপুরার দুটি আসনের উপনির্বাচন সেমিফাইনাল ছিল বিজেপির কাছে। সেমিফাইনালে বাজিমাত করল বিজেপি। সিপিআইএমের দুর্গ বলে আর কিছুই থাকলো না সোনামুরা মহাকুমায়। উপনির্বাচনের আগেই বিজেপি প্রার্থীদের প্রত্যাশা ছিল দুই কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার। ফলাফল ঘোষণার পর তাই বাস্তবায়িত হল।
দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছে সংখ্যালঘু ভোটাররা। উপজাতি ভোট প্রায় আশি শতাংশ এসে গেছে বিজেপির থলিতে। উপজাতিভিত্তিক একমাত্র রাজনৈতিক দল তিপরা মথার কোনও প্রভাব পড়লো না এই অকাল ভোটে। যদিও তিপরা মথার নেতৃবৃন্দরা আগেই জনগণের কাছে বিবেক ভোটের আহ্বান রেখেছিল। ফলাফলে প্রমাণিত বিবেক ভোটেই জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। ২৩ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিন্দু দেবনাথ ও ২০বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তফাজ্জল হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।তফাজ্জল হোসেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী মিজান হোসেনকে ৩০ হাজার ২৩৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে | সিপিআইএম প্রার্থী মিজান হোসেন বাম দুর্গ বলে পরিচিত এই কেন্দ্রে ভোট পেয়েছে মাত্র 3909 টি | বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন ভোট পেয়েছে ৩৪ হাজার ১৪৬ টি।অপরদিকে ২৩ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিন্দু দেবনাথ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের কৌশিক চন্দ্কে ১৮ হাজার ৮৭১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সিপিআইএম প্রার্থী কৌশিক চন্দ্ ভোট পেয়েছে মাত্র ১১১৪৬ টি। এদিকে বিজেপি প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ পেয়েছে ৩০ হাজার ১৭টি ভোট। বিশাল ভোটের ব্যবধানে সিপিআইএম প্রার্থীদের পরাজিত করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ২ কেন্দ্রের প্রার্থী।
এদিকে ধনপুর ও বক্সনগর উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য গণদেবতাদের নত মস্তকে প্রণাম জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রী রতনলাল নাথ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপির এই জয় প্রত্যাশিত জয় ছিল। দুই কেন্দ্রের ভোটারদের বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে তাদের সভাপতি। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বিজেপির এই জয় প্রমান করে দিয়েছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের কোনও প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বিজেপি। সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন বিজেপিই করতে পারে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার দুটি আসনের উপনির্বাচনের এই বিপুল জয় সারা দেশে ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে যে অশুভ ইঙ্গিত দেবে সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেননা রাজ্যের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের ইতিহাস ভেঙ্গে চুরমার করে দিল বিজেপি দল। দুই কেন্দ্রে জয়ের পর ভোটাররা বাজি পটকা ফুটিয়ে রীতিমতো মিষ্টিমুখ করে আনন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে।
Leave feedback about this