জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:- গত দুদিনের টানা বর্ষণে ফুলে ফেগে উঠেছে হাওড়া সহ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গার নদীগুলি। ঘূণিঝড় ‘শক্তি’ ভালোই প্রভাব লক্ষ্য করা যায় রাজ্যে। গত দুদিন ধরে গোটা রাজেই বৃষ্টিপাত হয়। এরফলে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে যায়। সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতির। হাওড়ার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলিতে ঢুকে নদীর জল। বলদা খাল, ডুকলি, আড়ালিয়া, রাজনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ধরে হাওড়ার জল ঢুকে পড়ছে।
এর ফলে স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক ছড়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকদের মধ্যে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। রাতের দিকে বৃষ্টি হলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও উজানে অথাৎ পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের দরুন হাওড়ায় বাড়ছে জলস্তর।
এদিকে বসে নেই প্রশাসনও। জেলা স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলার বৈঠক হয়েছে। প্রশাসন সব ধরনের আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার জানিয়েছেন। নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্যের সবকটি জেলায় বৃষ্টিপাত ছিল। এমনকি শুক্রবার সকালেও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হাওড়া নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠে। যার ফলে নদী সংলগ্ন অনেকের বাড়ি ঘরে জল ঢুকে যায়। সমস্যার সম্মুখীনে সাধারণ মানুষ।
এদিকে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে নর্থ এবং ঊনকোটিতে শুক্রবার লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। পাশাপাশি বাকি ৬ টি জেলায়ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। টানা দুইদিন ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাতে জনজীবনে ভীষণ ছন্দপতন ঘটেছে। আগরতলা শহরের সবচেয়ে কাছে বিশালগড় মহকুমাতেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিজয় নদের জল বাড়তে থাকায় বাজারে ঢুকে পড়েছে জল।
এছাড়াও গোমতী, খোয়াই, ধলাই, মনু, দেও সহ বিভিন্ন নদীগুলিতে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৪ সালে আগস্ট মাসে সেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথা এখনো মানুষ ভুলতে পারেনি। এর এক বছর না হতেই ফের ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা। বলতে গেলে বর্ষার মরশুম এখনো শুরুই হয়নি।
Leave feedback about this