জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- জম্পুই কবেই হারিয়েছে গরিমা। এখন আর জম্পুই পাহাড়ের কমলা রাজ্যের বাজারে দেখা যায় না বললেই চলে। ফলে বহিঃরাজ্যের রসালো কমলাই রাজ্যের বাজার ধরে রেখেছে। চাহিদা মিটাচ্ছে রাজ্যবাসীর। জম্পুই-র প্রাকৃতিক অপরূপ মনোরম পরিবেশে শুধু রাজ্যের মানুষের কাছে কমলার পাহাড় বলে খ্যাত ছিল না, পর্যটকদের কাছেও দর্শনীয় স্থান হিসাবে সুপরিচিত ছিল।
প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে শুধু রাজ্যের মানুষ নয়, বহিঃরাজ্য থেকে পর্যটকরাও জম্পুইয়ের পাহাড়ে ভিড় জমান। কিন্তু কমলার পাহাড়ের গরিমা অনেকটাই কমে গেছে। কারণ সেখানে আর আগের মতো কমলার চাষ হয় না বললেই চলে। কমলা চাষিরা বর্তমানে সুপারি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। কারণ কমলায় লাভের মুখ সেরকম না দেখায় সুপারি চাষেই তারা বেশি নজর দিয়েছেন।
তার উপর জম্পুই পাহাড়ের কমলা গাছে আগের মতো ফলন হয় না। ফলে এক সময় রাজ্যের মানুষের রসালো কমলার চাহিদা মেটানো জম্পুইয়ে আর কমলা চাষ হয় না। যাও হয় তা খুবই কম। সেই সব কমলা রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে আসে না বললেই চলে। সেই জায়গায় রাজ্যের বাজার দখল করেছে বহিঃ রাজ্যের কমলা। মিজোরাম, মণিপুরের পাশাপাশি নাগপুরের কমলা আসে রাজ্যে।
বর্তমানে সেই কমলাই রাজ্যের মানুষের শীতের মরশুমি ফলের চাহিদা মেটাচ্ছে। কমলা ব্যবসায়ীরা জানান, মিজোরাম থেকে প্রতি বছর কমলা আমদানি করা হতো। কিন্তু এই বছর মিজোরামেও কমলার ফলন ভালো হয়নি। তাই এই বছর মিজোরাম থেকে খুব কম পরিমাণে কমলা রাজ্যে আসছে। নাগপুরের কমলা দিয়েই রাজ্যের মানুষের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে স্বাভাবিক ভাবে দামও একটু চড়া।
Leave feedback about this