জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শুক্রবার যথাযথ মর্যাদায় রাজ্যে পালিত হল ৪৬তম ককবরক ভাষা দিবস যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৯ সালের এই দিনে , যদিও আজ ৪৬ বছর বাদেও তার অধিকার দেওয়া হয়নি৷ তারপরও আজ রাজ্যব্যাপী ঘটা করে পালিত হচ্ছে ৪৬ তম ককবরক ভাষা দিবস। এই উপলক্ষে আগরতলায় এক বর্ণাঢ্য রেলির আয়োজন করা হয়। রেলিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রণোজিৎ সিংহ রায়। এদিন তিনি বললেন, ককবরক ভাষীদের অধিকার রক্ষায় রাজ্য সরকার সচেষ্ট। স্বীকৃতি প্রাপ্তির ৪৬ বছর পূর্ণ করে ৪৭ বছরে পদার্পণ করেছে ককবরক ভাষা। কক মানে ভাষা ,আর বড়ক মানে মানুষ। যাকে তরজমা করলে দাড়ায় ,মানুষের ভাষা । ১৯৭৯ সালের এই দিনে একটি আনুষ্ঠানিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ককবরক ভাষা যা রাজ্যের একটি অন্যতম সরকারি ভাষা এবং স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রথম ভাষা । কিন্তু স্বীকৃতি প্রাপ্তির ৪৬ বছর বাদেও এই ভাষার স্ক্রিপ্ট আজও চালু হয়নি ।কেন হয়নি ?এর পেছনে রয়েছে একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ । এতে লাভ হচ্ছে কতটা তা জানা নেই ।তবে ভাষার বিকাশ যে থমকে আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্ক্রিপ্ট নিয়ে এর বিতর্ক আর কত দূর এগোবে তা জানা নেই ।তবে এই বিতর্কের আবহের মধ্যেই প্রতিবছরের মতো এদিনও রাজ্যব্যাপী পালিত হয় ৪৬ তম ককবরক দিবস ।এই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রবীন্দ্রভবনের প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য রেলির আয়োজন করা হয় ।রেলিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ,বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া ,প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার অতুল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। রেলিতে অংশগ্রহণ করেন রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ককবরক ভাষা দিবস উদযাপনের মহত্ত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে এদিন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, রাজ্য সরকার এই ভাসার বিকাশে সচেষ্ট ।ককবরক ভাষীদের অধিকার রক্ষায় সথেষ্ট।এদিন রেলিটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
Leave feedback about this