2025-02-25
Ramnagar, Agartala,Tripura
দেশ রাজনৈতিক

কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মিথ্যার গুচ্ছ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী 

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- শনিবার রাজস্থানের আজমিরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেখানে কংগ্রেস থাকে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে না। কংগ্রেস কখনও দরিদ্রদের কথা চিন্তা করেনি বা বঞ্চিত ও শোষিত যুবকদের কথা ভাবেনি। কংগ্রেসের জন্য এতটুকুই বলা যায় যে একটি করলা এবং অন্যটি নিম। একটি পরিবারভিত্তিক দল এবং অন্যটি সমানভাবে দুর্নীতিবাজ দল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মিথ্যার গুচ্ছ বলে বর্ণনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে কংগ্রেস পার্টি তার ইশতেহার প্রকাশ করেছে, মিথ্যার এক বান্ডিল। প্রতিটি পাতা থেকে ভারতকে টুকরো টুকরো করার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কংগ্রেসের ইশতেহারে সেই একই চিন্তাধারার প্রতিফলন রয়েছে যা স্বাধীনতার সময় মুসলিম লীগে প্রচলিত ছিল। কংগ্রেস তৎকালীন মুসলিম লীগের চিন্তাধারা আজ ভারতের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের আমলে গ্রাম, দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক, যুবক ও মহিলাদের জন্য বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছিল। প্রতিদিন পত্রিকায় হয় কেলেঙ্কারি বা সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রকাশিত হত। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস দল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মিছিল করছে না, দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে সমাবেশ করছে। তিনি যতই বলুন না কেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদির লড়াই চলবেই।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে ফল ঠিক হয়। আজ গ্রামের মেয়েরা ড্রোন উড়ছে। আমাদের মেয়েরা খেলার মাঠে বিস্ময়কর কাজ করছে। আজ মহিলারা ইসরোর বড় বড় প্রকল্পগুলি পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ভারতে বিশ্বের সর্বোচ্চ শতাংশ নারী পাইলট রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে কখনো কখনো এমন ঘটনা আসে, যখন দেশের নাগরিকদের একটি সিদ্ধান্ত আগামী শত বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়। ২০২৪ সালের এই নির্বাচন এমনই একটি সুযোগ।

সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি বলেছিলেন যে বিজেপি ৬ এপ্রিল নিজেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কাকতালীয় দেখুন আজ নিজেই পুষ্কর এলাকায় আসার সৌভাগ্য হয়েছে। ব্রহ্মাজি স্রষ্টা এবং বিজেপিও নতুন ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দেশের ইতিহাসে কখনো কখনো এমন ঘটনা আসে, যখন দেশের নাগরিকদের একটি সিদ্ধান্ত আগামী শত বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়। ২০২৪ সালের এই নির্বাচন এমনই একটি সুযোগ। আজ মনে আছে, আমাদের দেশে কত দশক কারচুপির সরকার চলেছিল। জোটের বাধ্যবাধকতা এবং সবার নিজের স্বার্থ। এসবের মধ্যে দেশের স্বার্থকে পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service