জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলছে। সংসদে দল ও বিরোধীদের মধ্যে বিবৃতি বিনিময়ও চলছে। অন্যদিকে, সংসদের কার্যক্রম চলাকালীন একটি বিশেষ জিনিসও দেখা গেছে। আসলে, স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। রাহুল গান্ধী যখন সংসদে ভাষণ দিচ্ছিলেন, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাকে বাধা দেন।
আসলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করছিলেন রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি মহাভারত যুগের চক্রব্যূহের কথা উল্লেখ করেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে অভিমন্যুকে ছয়জন মিলে হত্যা করেছিল, তাদের নাম ছিল কর্ণ, দ্রোণাচার্য, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বথামা এবং শকুনি। রাহুল আরও বলেন, ‘আজও চক্রব্যূহে ছয়জন রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত দোভাল, আম্বানি ও আদানি নিয়ন্ত্রণ করছেন।’ এদিকে লোকসভার স্পিকার রাহুল গান্ধীকে বাধা দেন।
বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে বাধা দিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ‘আপনি সাংবিধানিক পদে আছেন। আপনার অনেক সম্মানিত সদস্য আমাকে চিঠি দিয়েছেন যে যারা এই সংসদের সদস্য নয় তাদের নাম তারা নেবেন না। আপনি লিখিতভাবে দিয়েছেন, আপনি এটি অনুসরণ করতে চান না? নেতা সংসদের নিয়ম-কানুন বজায় রাখবেন বলে আশা করব।
এর পর বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আপনি চাইলে আমি এই তালিকা থেকে এনএসএ অজিত ডোভাল, আম্বানি ও আদানির নাম বাদ দিই।’ লোকসভার স্পিকার বলেন, ‘হাউসের নিয়ম-কানুন চলে।’ এর জবাবে রাহুল গান্ধী আবার বলেন, আপনি যদি বলেন, আমি তালিকা থেকে তিনজনের নামই বাদ দেব। এর পরেই সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন শাসক দলের সাংসদরা।
এর আগে রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বলেন, ‘আপনারা চান ভারত ছোট পকেটে থাকুক। ভারতের গরিব মানুষ যেন স্বপ্ন দেখতে না পারে। শুধু আদানি আর আম্বানি ছাড়া। এদিকে রাহুল গান্ধীকে বাধা দেন লোকসভার স্পিকার। ওম বিড়লা বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনার ডেপুটি লিডার আমাকে লিখিতভাবে একটি চিঠি দিয়েছেন যে এই হাউসের সদস্য নয় এমন কোনো সদস্য এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন না।’লোকসভার স্পিকার আবার রাহুল গান্ধীকে বাধা দিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারবেন না।’
Leave feedback about this