জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে ৭৩তম বিএন মল্লিক স্মৃতি অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। ৪৫টি দল এতে অংশ নেবে। এরমধ্যে ৩৬টি পুরুষ ও ৯টি মহিলাদের নিয়ে গড়া দল। আজ সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভরঞ্জন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এই প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় সিনিয়র লেভেলে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। নির্বিঘ্নে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এই প্রতিযোগিতা সফল করে তোলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।
রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক জানান, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দল রাজ্যে আসা শুরু করে দিয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১টি দল আগরতলায় এসে পৌঁছে গেছে। আগামীকালের মধ্যে অবশিষ্ট দলগুলিও পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি উমাকান্ত স্টেডিয়ামে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক জানান, ২৫টি রাজ্য, ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৭টি কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ১,৫০০-এর মতো ফুটবলার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
রাজ্যের ৫টি অ্যাস্ট্রোটার্ফ ফুটবল মাঠে প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলি হবে। আগরতলার পাশাপাশি জিরানীয়া, মোহনপুর, জম্পুইজলা এবং উদয়পুরে পুরুষ ও মহিলা ফুটবলাররা তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন এই খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকবেন। উদ্বোধন ও সমাপ্তি ম্যাচ হবে উমাকান্ত স্টেডিয়ামে। লিগ কাম নক আউট পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় এই প্রতিযোগিতার নক আউট পর্যায়ের অধিকাংশ ম্যাচই হবে আগরতলায়। সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় ১০২টি ম্যাচ হবে।
এরমধ্যে পুরুষ ফুটবল টিম ৮১টি এবং মহিলা ফুটবল টিম ২১টিতে অংশ নেবে। বেশ কয়েকটি ম্যাচ দিনরাতের আলোয় খেলা হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিজোরাম উত্তরপ্রদেশের মুখোমুখি হবে। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক জানান, সবার সহযোগিতা নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য ৪০ জন রেফারি থাকছেন। এই প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ম্যাচ উপভোগ করার জন্য তিনি ক্রীড়ামোদি দর্শকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও শক্তিশালী হয়।
Leave feedback about this