2024-12-22
Ramnagar, Agartala,Tripura
অপরাধ

গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন ৪০ বছরের যুবককে

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মানুষ যেন হয়ে উঠছে হায়েনা, নর পাষন্ডেরা পিটিয়ে খুন করল ৪০ বছরের এক যুবককে।ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, ঠুটো জগন্নাথ পুলিশ প্রশাসন, ছি ছি রব জনমানষে। দিন দিন যেন মনুষত্ব হারাতে বসেছে সাধারণ মানুষজনেরা। মানুষের দ্বারা সংঘটিত লোমহর্ষক কিছু ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়তে হয় শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের। বর্তমান ডটকমের যুগেও কোনও কিছু বিচার বিশ্লেষণ না করে, শুধুমাত্র সন্দেহের বসে মানুষ মানুষকে খুন করে ফেলছে। এ যেন আজব দুনিয়া। সাধারণ জিনিসকে কেন্দ্র করে একশ্রেণীর মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করছে জনরোষ , আর সেই জন রোষেই প্রাণহানি করছে সাধারণ মানুষের। পুলিশ এ রাজ্যে যেন কাল ঘুমে নিদ্রাচ্ছন্ন। গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারালো খোদ রাজধানী আগরতলা শহরের বলদাখাল এলাকায় চল্লিশ বছর বয়সি নন্দু সরকার নামে এক যুবক। জানা যায়, নিহত যুবকের বাড়ি দক্ষিণ চন্দ্রপুর, পূর্ব ধলেশ্বর এলাকায়। মাত্র সাড়ে ১১ বছর আগে সোনালী দেব সরকারের সাথে বিয়ে হয়েছিল নন্দু সরকারের। বর্তমানে তাদের ছোট্ট একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত পরশুদিন ছোট্ট কন্যা সন্তানকে নিয়ে নন্দুর স্ত্রী সোনালী বাপের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ঈদের দিন সকালে বলদাখাল এলাকায় বাড়া বাড়ির পাশেই নন্দু হয়তো একটি গাভীকে দেখে তার গায়ে হাত বুলিয়েছে। কেননা নন্দুর পরিচিত এক যুবক জানায় সে প্রায়ই কুকুর ছাগল বিড়াল, গাভী দেখলে এদের সঙ্গে আদর সোহাগ করত। খাবারও এনে দিত পশুপাখিদের।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বলদা খাল এলাকা নন্দকের শুধুমাত্র সন্দেহ বসে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অথচ পাড়ার লোক সবাই তাকে চেনে। কেন এই হত্যাকাণ্ড বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকে। এদিকে খবর পেয়ে নন্দর স্ত্রী সোনালী ছুটে আসে বাপের বাড়ি থেকে। এসেই শুনে নন্দকে গণপিটুনি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে থানায়। পরে জানতে পারে পুলিশ নন্দুকে মৃত অবস্থায় ফেলে এসেছে জিবি হাসপাতালে। সোনালীর প্রশ্ন কেন হত্যা করা হল তার স্বামীকে। কিভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো তাকে, কোথায় ছিল পুলিশ, এ ধরনের নানা প্রশ্ন বিড়বিড় করে বলছে সোনালী। জিবি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় , নন্দুকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা ইসিজি করে নিশ্চিত হয়েছে সে মৃত। তবে তার শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে। বাকিটা বলতে পারবে পিএম রিপোর্ট। অপরদিকে এলাকার মানুষ তীব্র খুব প্রকাশ করেছে পুলিশ প্রশাসনের উপর। বলছে নন্দুকে যে ব্রিজের উপরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, খারচি মেলা উপলক্ষে তখন সেখানে ডিউটিরত ছিল পুলিশ টিএসআর। কি করেছিল তখন পুলিশ প্রশাসন। তাছাড়া বোধজংনগর থানার পুলিশ জীবিত অবস্থায় নন্দুকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে কি পুলিশের পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে নন্দুর। এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। সঠিক ময়নাতদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service