2024-11-08
agartala,tripura
অপরাধ

গাড়ি ভর্তি বিদ্যুৎ সামগ্রী আটকালেন রতন লাল নাথ

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- অরাজগতা চলছে বনমালীপুর বিদ্যুৎ হেড অফিসে। অফিস থেকে সন্দেহজনক মাল বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়ি দিয়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। হাতেনাতে ধরে গাড়ি থেকে মাল নামিয়েও রাখলেন খোদ মন্ত্রী। বিদ্যুৎ অফিস নয় যেন ঠিকাদারদের গোডাউন।ঠিকাদারদের মালপত্র থাকে বিদ্যুৎ দপ্তরের হেড অফিসে। গত কয়েকদিন ধরে গাড়ি করে মাল বেরিয়ে যাচ্ছে বনমালীপুর বিদ্যুৎদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে। সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। কি সব মাল, গাড়ি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অফিস থেকে। খবর যায় দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের কাছে।এদিকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রী রতন লাল নাথ ছুটে আসে বনমালীপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। হাতেনাতে ধরেও ফেলেন গাড়ি সমেত মালপত্র। ছুটে আসে দপ্তরের ডিজিএম সেলুকাস দেববর্মা সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।মন্ত্রী রতন লাল নাথ এ বিষয়ে ডিজিএমকে জিজ্ঞাসা করায় কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ডিজিএম। চটে গিয়ে মন্ত্রী শ্রীনাথ ডিজিএমকে বলেন, ভুলে যান পুরনো আমল , কাজ করুন দায়িত্ব নিয়ে। এদিন মন্ত্রী কিছুতেই মানতে নারাজ, গাড়ি ভর্তি মালপত্র সব ঠিকাদারের। দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত মাল নামিয়ে নেন গাড়ি থেকে। মন্ত্রী কর্মচারীদের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে বলেন, আপনাদের কি, আপনারা তো শুধু অফিসে আসেন, ঘোরাঘুরি করেন, আর সন্ধ্যা হলে বাড়ি চলে যান, মাসের শেষ বেতন, এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বছর। কাজের বেলায় অষ্টডঙ্গা। মন্ত্রী নিজেই এদিন অফিস থেকে মাল নিতে আসা ঠিকাদারের কাছে কাগজপত্র চেয়ে বসেন। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন লেবার লাগিয়ে মাল গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলার জন্য |মন্ত্রী কর্মচারীদের কাছে জানতে চান, কেন এতদিন এইভাবে সরকারি অফিসে বেসরকারি মালপত্র রাখার জায়গা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে এদিন জবাব চান মন্ত্রী। প্রসঙ্গত বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই বিদ্যুৎ দপ্তরে এ ধরনের অরাজকতা চলে আসছিল। ঠিকেদার আর আমলাকুল একে অপরের হরিহর আত্মা ছিল। যার ফলে লুট বাণিজ্য ছিল তুঙ্গে। বিদ্যুৎ যন্ত্রনা পোহাতে হয়েছে সারা রাজ্যের মানুষকে। আজও সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। গ্রাম পাহাড়ের মানুষজন। বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে আর কখন ফিরে আসবে তা বলা মুশকিল। তবে এদিন মন্ত্রী রতনলাল নাথ রাগে চটে গিয়ে লাল হয়ে গেলেও।সাংবাদিকদের সামনে কিন্তু দপ্তর কর্মীদের কুকীর্তি আড়াল করতে ভুলেনি। মন্ত্রী বলেন, সবটাই যে চুরি হচ্ছে তা নয়, সন্দেহজনক ভাবে খবর দেওয়া হয়েছে এবং সেই খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্যই আমার আসা।এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন উত্তরে, রতন লাল নাথ জানান, মন্ত্রী আলাদা কিছু নয়, একজন মন্ত্রী, একজন গ্রুপ ডি কর্মচারীর সমান, তারও দায়বদ্ধতা থাকে সমাজের প্রতি ও দপ্তরের প্রতি।সেজন্য মানুষের দুর্ভোগের খবর শুনলেই ছুটে আসতে হয় মন্ত্রীদের। মন্ত্রী রতন লাল নাথের দপ্তরের প্রতি এই কর্মতৎপরতা দেখে উপস্থিত জনতারাও বাহবা জানিয়েছে। প্রত্যেকটি দপ্তরের মন্ত্রী এভাবে সক্রিয় থাকলে আখেরে লাভ সাধারণ জনতার। সেটা অবশ্য কর্ম তৎপরতার মাধ্যমেই দেখিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service