জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ৫৫৬ টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে।বন্যার কারনে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীর বই নষ্ট হয়ে গেছে, তাদেরকে দ্রুত বই ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে সর্বদলীয় বৈঠক। শনিবার বিকেলে রাজ্য অতিথিশালায় হয় বৈঠক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস, সিপিএম, তিপ্রা মথা, সিপিআই সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ত্রিপুরা রাজ্যে। বন্যার ফলে রাজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষের প্রান গিয়েছে। বন্যার কারনে বাড়ি ছাড়া বহু মানুষ। এনডিআরএফ, আসাম রাইফেল, এসডিআরএফ, টিএসআর জওয়ান সকলে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য শনিবার সর্ব দলীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা জানান বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গোমতী নদীর জলস্তর এখনো বিপদ সীমার উপর বইছে। এখনো পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার খাবারের প্যাকেট বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এখনো খাবারের প্যাকেট বিতরণের কাজ চলছে। এইদিনের সর্বদলীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মৃত ২৪ জনের পরিবারকে এক কালিন ৪ লক্ষ টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত দিয়েছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
Leave feedback about this