জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-মাদক দমনে কঠোর অবস্থান বজায় রেখে ত্রিপুরা পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ যৌথভাবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কফ সিরাপ ধ্বংস করল। বুধবার আদালতের নির্দেশ ও হাই-লেভেল ড্রাগ ডেস্ট্রাকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে এই বিপুল পরিমাণ জব্দকৃত মাদক দ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
গত জুলাই মাসে ধলাই জেলার আমবাসা থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া এই চালানটি প্রাথমিকভাবে আমবাসা থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্তের স্বার্থে ক্রাইম ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়। তদন্তের সময় ৫৯,০০০-এর বেশি এসকাফ কফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছিল—যা নেশাজাতীয় উপাদান থাকার কারণে দেশে নিষিদ্ধ। 
ড্রাগ ডেস্ট্রাকশন কমিটির প্রধান ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আইজি অমূলা রমেশ রেড্ডি, আইপিএস জানান, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার জন্য উন্মুক্ত জায়গায় এই নিষিদ্ধ দ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে এনডিপিএস আইনের আওতায় একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, এবং মাদক চক্রের শিকড় উপড়ে ফেলতে ত্রিপুরা পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
“নেশা মুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের লড়াইকে সামনে রেখে আইজি রেড্ডি বলেন, জব্দ করা মাদকের বাজারমূল্য প্রমাণ করে দেয় সমস্যাটি কতটা ভয়াবহ। যুবসমাজকে রক্ষা করতে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের নজরদারিও প্রয়োজন।
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে “প্রয়াস অভিযান”-এর আওতায় স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রেড্ডি জানান, যে কেউ জরুরি পরিস্থিতিতে ১১২ নম্বরে ফোন করতে পারেন এবং মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য ১৯৩৩ হেল্পলাইনে অথবা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মাধ্যমে জানাতে পারেন।
স্কুল পড়ুয়া কিশোর–কিশোরীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রেড্ডি অভিভাবক, শিক্ষক, যুব সংগঠন ও সরকারি সংস্থাগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ত্রিপুরার কঠোর মাদকবিরোধী আইন তরুণদের জন্য স্পষ্ট সতর্কবার্তা—মাদক থেকে দূরে থাকতেই হবে, নইলে আইনের কঠোর পরিণতি এড়ানো যাবে না।





Leave feedback about this