2025-05-23
Ramnagar, Agartala,Tripura
অপরাধ রাজ্য

দুই বাংলাদেশি সহ চার পশ্চিমবাংলার নাগরিক আটক বিলোনিয়া থানার পুলিশের হাতে

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ত্রিপুরাকে করিডোর বানিয়ে মানব পাচারের ঘটনা আবারো সামনে এলো। ফের বিলোনিয়ায় আটক ছয় অনুপ্রবেশকারী। সব মিলিয়ে গত এক মাসে অবৈধভাবে শুধু আমজাদ নগর এলাকা দিয়ে ২১ জনেরও বেশি বাংলাদেশি রাজ্যে তথা ভারতে প্রবেশ করেছে। অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে ত্রিপুরাকে করিডোর বানিয়ে মানব পাচারের ঘটনা আবারো সামনে এলো।

বুধবার রাতে দুই বাংলাদেশি সহ চার পশ্চিমবাংলার নাগরিক আটক করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিলোনীয়া বিদ্যাপীঠ গ্যালারি এলাকা থেকে ছয় নাগরিক কে আটক করে বিলোনিয়া থানায় নিয়ে আসে। তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী সীমানা লঙ্ঘন করার অপরাধে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ছয় জনই পরশুরাম হয়ে আমজাদ নগর সীমান্ত দিয়ে আদম বেপারীদের ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। এখানে তাদের কোন থাকার জায়গা না থাকাতে তারা বিদ্যাপীঠ মিনিস্টেডিয়ামে রাতের বেলায় আশ্রয় নেয়। বিলোনিয়াকে করিডোর করে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের আনাগোনা চলে আসছে। আটককৃত ছয় নাগরিকের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া থানা বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে আটক করে বৃহস্পতি বার আদালতে পাঠায়। বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু রঞ্জন দে জানান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুরে উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। মধুপুর সংযোজনঃ এলাকাবাসী এবং মধুপুর থানার সহযোগিতায় পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে পাথারিয়াদ্বার এলাকায়। তাদের মধ্যে দুই জন মহিলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশিরা স্বীকার করেন দিল্লিতে কাজের উদ্দেশ্যে এপাড়ে এসেছে। বাংলাদেশের কিছু দালাল তাদেরকে মধুপুর থানাধীন পাথারিয়াদ্বার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি কালভার্টের নিচ দিয়ে এই পারে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে ১৫ হাজার টাকা নেয়। পাথারিয়াদ্বার এলাকায় এরা যখন ঘোরাফেরা করছিল এমন সময় এলাকাবাসীর নজরে আসে। মধুপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।

জানাযায় তাদের বাড়ি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলার রংপুর ডিভিশনে। ধৃতরা একই পরিবারের, তাদের নাম মনির খান, সাহেবা খাতুন, শাহজালাল খান এবং স্বাধীন খান ও দুলালী খাতুন। প্রাথমিক ধারণা এদের সঙ্গে এপারের কিছু দালালও যুক্ত রয়েছে। আদর্শকলোনি এলাকার কয়েকজন যুবক মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ রয়েছে।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service