জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:-আজ উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত নীলজ্যোতি রাখাল শিল্ড নক আউট ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। ফাইনাল ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও মানুষ সুগঠিত হতে পারে। 
জীবনকে সুশৃঙ্খল করা এবং নেশার কুপ্রভাব থেকে খেলাধুলার মাধ্যমেই দূরে থাকা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায়শই বলে থাকেন আগামী প্রজন্ম দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা না দিতে পারলে দেশ এগোতে পারবে না। রাজ্য সরকারও
সেই লক্ষ্য পূরণে প্রতিটি ক্ষেত্রের পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নতিতেও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি সিন্থেটিক টার্ফ মাঠ তৈরি করা হয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলা যায়। সেক্ষেত্রে ফুটবল খেলার বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।
ফুটবল খেলা শুধু শারীরিক বা মানসিকভাবে নিজেকে সক্ষম করে না, ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। রাজ্য সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রের সার্বিক উন্নতির স্বার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলাফলও রাজ্যবাসী দেখতে পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নতির স্বার্থে খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মতো খেলো ত্রিপুরা প্রকল্প নিয়ে এসেছে।
আজকের ফাইনাল ম্যাচে ফরোয়ার্ড ক্লাব ২-০ গোলে ব্লাড মাউথ ক্লাবকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করে। মুখ্যমন্ত্রী আজকের ফাইনাল ম্যাচের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স উভয় দলের খেলোয়াড়দেরকে শুভেচ্ছা জানান। ফাইনাল ম্যাচে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র বিধায়ক দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য প্রমোদ রিয়াং, প্রাক্তন বিচারপতি অরিন্দম লোধ, ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব সরকার, ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অমিত চৌধুরী, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার গৌতম সরকার, সমাজসেবী শ্যামল দেব প্রমুখ।
Leave feedback about this