জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্য সরকার ধীরে ধীরে কর্মচারীদের ডি.এ. ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ বিধানসভায় বিধায়ক গোপাল রায়ের উত্থাপিত নোটিশের জবাবে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আর্থিক সংস্থানের দিক বিবেচনা করে ডি.এ.-র ব্যবধান ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে। একই সঙ্গে কর্মচারীদের নিয়মিত পদোন্নতি প্রদানের জন্য রাজ্য সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতে স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বেসিক বেতন কেন্দ্রীয় সরকারের সপ্তম পে কমিশনের অনুরূপ করার জন্য ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.২৫ থেকে ২.৫৭ করা হয়েছে। এর ফলে বেসিক বেতন ১৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিবার ডি.এ. বৃদ্ধির পর কর্মচারীরা আরও উপকৃত হচ্ছেন। করোনাকালীন সময়েও ডি.আর. ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ক্যাশ ইন লিউ অব এল.টি.সি. সুবিধা চালু রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, পূর্বে একাধিক পদ মিলিয়ে ৫ বছর বা তার বেশি সময় চাকরি করলেও ফিক্সড পে কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের কোনও নীতি ছিল না। বর্তমান সরকার এই নীতি সংশোধন করেছে। এখন ৫ বছর একটানা চাকরি করলে কর্মচারী নিয়মিত হওয়ার যোগ্য হবেন।
আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পদোন্নতি এখন অ্যাডহক প্রমোশন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা যাতে সব সরকারি কর্মচারী পান, তার জন্যও একটি পলিসি তৈরি করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার টি.এস.আর জওয়ানদের অবসরের বয়স ৫৮ থেকে ৬০ বছর বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া পুলিশের জন্য বরাদ্দ রেশন মানি ও ড্রেস অ্যালাউন্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। হোমগার্ডদের মাসিক পেনশন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মচারীদের ফেস্টিভেল অ্যাডভান্স ৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০,০০০ করা হয়েছে এবং ফেস্টিভেল গ্র্যান্টও ২০১৮ সালের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave feedback about this