জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের (TRLMS) উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির লক্ষ্য রাজ্যের স্বসহায়ক দলের মহিলা সদস্যদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার উপস্থিতিতে লাখপতি দিদি তৈরি করার এই বিশেষ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গণমানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং মহিলা স্বশক্তিকরণ এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। লাখপতি দিদিগণ আগামীদিনে রাজ্যের অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি হয়ে উঠবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মহিলা স্বশক্তিকরণের স্বপ্নকে আমরা রাজ্যেও বাস্তবায়িত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে রাজ্যে ১ লক্ষ লাখপতি দিদি এবং ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার স্বসহায়ক দলের মহিলা সদস্যা রয়েছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ত্রিপুরাকে মহিলা ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে বিশেষ স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তড়িৎকান্তি চাকমা, অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুব্রত মজুমদার, নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার অনিল এম. কোটমিরে, ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নাগাধীরাজ দত্ত এবং এসএলবিসি’র আহ্বায়ক ঋতুরাজ কৃষ্ণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার লাখপতি দিদি এবং স্বসহায়ক দলকে ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। উত্তর ত্রিপুরার কলাছড়া ব্লকের স্বপ্নময়ী সিএলএফ-এর ১,১৯৮ জন লাখপতি দিদিকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ধলাই জেলার অনুরাধা সিএলএফ-এর ৯৪৬ জন লাখপতি দিদিকে ৯৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, দক্ষিণ ত্রিপুরার রূপাইছড়ি সিএলএফ-এর ১,২০২ জন লাখপতি দিদিকে ১ কোটি ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ঋণের চেক এবং অন্যান্য স্বসহায়ক দলকে যথাক্রমে ২০ লক্ষ টাকা ও ১৫ লক্ষ টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রী হাতে তুলে দেন।
অতিথিরা বিভিন্ন শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কারও প্রদান করেন। রাজ্যের ৭ জন শ্রেষ্ঠ ব্যাঙ্ক সখি, ৫ জন ব্লকভিত্তিক এবং ৬ জন জেলাভিত্তিক সমৃদ্ধি কর্মসূচি পরিচালনাকারী সদস্যদের বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয় যারা লাখপতি দিদিদের ন্যূনতম সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তা করছেন।
অনুষ্ঠানে লাখপতি দিদিদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সমৃদ্ধি কর্মসূচি এবং লাখপতি দিদিদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “মহিলা ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা রাজ্যের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিকনির্দেশনা স্থাপন করবে।”





Leave feedback about this