জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-ত্রিপুরার রাজনৈতিক ময়দানে নতুন বিতর্কের আগুন জ্বালিয়েছে তিপরা মথা (TIPRA Motha) নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের একটি মন্তব্য। দিল্লির জন্তর মন্তরে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি নিজেকে ‘ত্রিপুরার মালিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এর জবাবে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, ত্রিপুরার আসল মালিক জনগণ, এবং প্রদ্যোত বাবুর এই মন্তব্য হতাশা থেকে উদ্ভূত। কারণ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় তিনি তিপরাসাদের (আদিবাসী জনগোষ্ঠী) কাছে জবাবদিহি করতে পারছেন না। সুদীপ আরও বলেন, প্রদ্যোতের মানসিকতা এখনও ‘রাজন্য শাসন’-এ আটকে আছে, যা পরিবর্তন করতে হবে।
সুদীপ-প্রদ্যোতের মধ্যে এই ধরনের বিতর্ক নতুন নয়। অতীতে সুদীপ প্রদ্যোতকে ‘কংগ্রেস ডিএনএ’ বলে কটাক্ষ করেছেন এবং BJP-তে যোগদানের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অন্যদিকে, প্রদ্যোত সুদীপের পার্টি পরিবর্তনকে নিশানা করেছেন। এই বিতর্ক CAA (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট) বাস্তবায়ন নিয়েও দেখা গেছে, যেখানে প্রদ্যোত আদিবাসীদের ভোটব্যাঙ্ক বলে অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি (তিপরাসা অ্যাকর্ড) আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে। এতে আদিবাসী এলাকায় স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ানো, ভূমি অধিকার এবং অর্থনৈতিক প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু প্রদ্যোত অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এটি মানছে না, যা রাজনৈতিকভাবে ভুল তথ্য দিয়ে গড়ে তোলা। সামনে ভিলেজ কমিটি নির্বাচন, যা আদিবাসী এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ। এই দেরির কারণে প্রদ্যোতের মতো নেতারা চাপে পড়েছেন, যা তাঁদের মন্তব্যকে প্রভাবিত করছে বলে একাংশ রাজনৈতিক মহলের দাবি।
Leave feedback about this