2025-08-28
Ramnagar, Agartala,Tripura
অপরাধ দেশ রাজ্য

ত্রিপুরার ব্যবসায়ী উৎপল কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটির অর্থপাচারের অভিযোগ, ইডি অভিযান

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:- কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ এনফোর্সমেন্ট (ED) ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ত্রিপুরা, দিল্লি, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। গত ২৬ আগস্ট এই অভিযান চালানো হয়েছিল, যা ত্রিপুরার বাসিন্দা উৎপল কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ।

ED-এর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উৎপল কুমার চৌধুরী একটি জটিল ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, যেখানে সংস্থার নামগুলো সরকারী বা PSU সংস্থার নামের সঙ্গে মিল রেখে রাখা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি নিজেকে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে বিভ্রান্ত করতেন।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, উৎপল কুমার চৌধুরী ডিরেক্টরেট অফ হায়ার এডুকেশন, ত্রিপুরা, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানি এবং ডিরেক্টরেট অফ অ্যাপারেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-এর মতো নাম ব্যবহার করে মিথ্যা আশ্বাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের প্রতারণা করতেন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিতেন যে, ত্রিপুরার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে এবং মধ‍্যাহার প্রকল্পের টেন্ডার দেওয়া হবে।

তদন্তে জানা গেছে, তিনি NGO M/s ‘চালতাখালি স্বামীজি সেবা সংঘ’ যা ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট এর অধীনে নিবন্ধিত, নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লন্ডারিং করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকা এই NGO-এর মাধ্যমে হরিয়ানা, দিল্লি ও কলকাতার বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার কাছে স্থানান্তরিত হয়েছে।

তদন্তে উৎপল কুমার চৌধুরীর কিছু সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সুযোগ করতেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা এই কর্মকর্তাদের কাছেও বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান করেছিলেন।

তল্লাশির সময় ED-এর দল বিভিন্ন ডিজিটাল ও শারীরিক প্রমাণ, সরকারি দপ্তরের স্ট্যাম্প, মিথ্যা আইডি, নগদ ৭ লাখ টাকা, এবং ৬০ লাখ টাকা ব্যালান্স সহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও, ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি ও জমি বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গেছে।

বর্তমানে উদ্পল কুমার চৌধুরী হরিয়ানা জেলে অবস্থান করছেন। ED-এর তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে এবং আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য অভিযান অব্যাহত।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service