জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-৪ দফা দাবিতে সোচ্চার হয়েছে অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি। মঙ্গলবার সংগঠনের তরফে এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেয় শিক্ষা দপ্তরে। জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। ত্রিপুরার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া সেভএডুকেশন কমিটি। মঙ্গলবার শিক্ষাদপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের ত্রিপুরা শাখা।
শিক্ষা বিভাগের অধিকর্তার নিকট এক স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষায় দুরবস্থা নিরসনের দাবিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করে। কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্যের বহু স্কুলে শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছেছে। কোথাও কোথাও একজন শিক্ষকই পুরো বিদ্যালয় চালাচ্ছেন। পরিকাঠামোরও মারাত্মক অভাব দেখা দিয়েছে। উপরন্তু, শিক্ষকদের পঠনপাঠনের বাইরে প্রশাসনিক দায়িত্বও চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এতদিন রাজ্যের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান ও ত্রিপুরা বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হওয়ার গর সরকার হঠাৎ করে ১২৫টি বিদ্যালয়কে “বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প”-এর আওতায় এনে পাঠ্যক্রম ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তর করে সিবিএসই বোর্ডের অধীনস্থ করে দেয়। কিন্তু এসব স্কুলে নেই পর্যাপ্ত ইংরেজি শিক্ষাদানযোগ্য শিক্ষক। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, উন্নয়ন ফি ও অন্যান্য ফি বাবদ প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা আদায় করায় গরিব পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক চাপ সামলাতে না পেরে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে, ইংরেজি মাধ্যমে হঠাৎ পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। ফলে বহু শিক্ষার্থীর পড়াশোনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কমিটির অভিযোগ ইতিমধ্যে ৫২২টি সরকারি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং আরও ৯৬৫টি স্কুল বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা রাজ্যের গরিব ও প্রান্তিক পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার হরণ করছে বলে মনে করে এই সংগঠন। এদিন শিক্ষা দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও দেখান তারা।
Leave feedback about this