জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সোমবার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই কিছুক্ষণের মধ্যে দুই কক্ষেই অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এরপর লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিরোধীদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিপর্যয় এবং পহেলগাম হত্যাকান্ডের জন্য নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পহেলগাম হামলা, অপারেশন সিঁদুর, বিহারের ভোটার তালিকা এরকম নানান বিষয় নিয়ে সোচ্চার হন বিরোধী দলনেতারা। এই কারণে দুই কক্ষেই স্থগিত করা হয় অধিবেশন। দুপুর ১২ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়। পহেলগাম কান্ড নিয়ে বিরোধীরা আলোচনা শুরু করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন ছেড়ে চলে যান।
অধিবেশন যখন স্থগিত ছিল সেইসময় রাহুল গান্ধী অভিযোগ জানিয়েছেন যে, বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বিরোধী দলনেতা, তাই তাঁর বক্তব্য রাখার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সরকারি প্রতিনিধিরা যদি কথা বলতে পারেন তবে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদেরও কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, অপারেশন সিঁদুর এবং পহেলগাম কান্ড নিয়ে বিরোধীরা সরব হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ছুটে পালিয়ে গেলেন। রাজ্যসভা অধিবেশন ১২ টা থেকে শুরু হলেও বিরোধীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। অপারেশন সিঁদুর এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নাড্ডা জানান, সরকার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এরপর শোরগোল শুরু হওয়ায় বিরোধীরা বেরিয়ে যান রাজ্যসভা থেকে। দুপুর ২ টোর সময় লোকসভা অধিবেশন শুরু হলে তাঁরা বক্তব্য রাখার সুযোগ চান। সেই অধিবেশনও স্থগিত রাখা হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
Leave feedback about this