জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকালে জাতীয় সড়ক অবরোধ কৃষকদের। ঘটনা তেলিয়ামুড়ার মহারানীপুর এলাকায়। কৃষিজীবী পরিবারগুলি নিজেদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসেন। মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও, প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের সক্রিয় হস্তক্ষেপে দ্রুত স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত মহারানীপুর এলাকার একাধিক কৃষক পরিবার প্রায় আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্রহ্মাছড়া এলাকার নদী তীরবর্তী সরকারি খাস জমিতে কৃষিকাজ করে আসছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই এলাকার কিছু স্থানীয় ব্যক্তি নিজেদের জমির মালিক দাবি করে কৃষকদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা করে দাবি করেন এবং তাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে অবরোধ করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় এদিন তেলিয়ামুড়া সফরে ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। মহকুমার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। আর এদিকে কৃষকদের রাস্তা অবরোধের ফলে স্তব্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় প্রশাসনিক কর্তাদের।
অবরোধের খবর পেয়ে প্রথমে ডিসিএম দেবাশীষ চাকমার নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরাসরি অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সকল অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শোনার পর আশ্বাস দেন যে সমস্যাগুলি নিরসনের জন্য প্রয়োজনে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় স্তরে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে অবরোধকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ তুলে নেন। এর ফলে জাতীয় সড়কে পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর তেলিয়ামুড়া সফরের দিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া আলোড়ন প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave feedback about this