2024-12-19
agartala,tripura
রাজ্য

মনসার বাজারে আগুন দাম গামতি নেই বেচা কেনায়

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শ্রাবনের সংক্রান্তিতে শ্রদ্ধার সঙ্গে পতিত হবে দেবী মনসা। বাজারে লেগে গেছে ভিড়। কেউ কেউ বলছেন জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। কেউ বলছেন বিক্রি বাট্টা হচ্ছে ভালই আবার কেউ বলছেন বাজারে লোক নেই। এই নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। মনসা পূজা পালন হয় প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তিতে। সূর্য এদিন নিজের অবস্থান পরির্তন করে সিংহ রাশিতে প্রবেশ করছে, তার সঙ্গে এদিন শ্রাবণ শেষ হয়ে শুরু হচ্ছে ভাদ্র মাস। ঘরে ঘরে শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজিতা হচ্ছেন দেবী মনসা। অনেকের মতে, সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে মাটির সরায় দুধ-কলা দিয়ে দেবী মনসাকে পুজো করা হয়। সারাদিন উপোস করে পুজো শেষে সাবু-দুধ-কলা দিয়ে মনসার পুজো সম্পন্ন করে তবে উপবাস ভাঙেন মহিলারা। সমাজে এই পুজোর প্রচলিত হওয়ার জন্য রয়েছে প্রচলিত পুরান কাহিনি।পুরাণ অনুসারে, মনসা হলেন শিবের স্বীকৃতকন্যা ও জরৎকারুর পত্নী। জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মনসার মা চণ্ডী (শিবের স্ত্রী পার্বতী) তাঁকে ঘৃণা করতেন কিন্তু পরবর্তীতে মাতা চণ্ডী মনসাকে নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কোনও কোনও ধর্মগ্রন্থে আছে, শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বলে বর্ণনা করা হলেও, যিনি তাঁর পূজা করতে অস্বীকার করেন, তাঁর প্রতি তিনি নির্দয় হয়ে থাকেন।মনসার উৎপত্তি বিষয়ে নানা কাহিনি শোনা যায়। জানা যায়, সর্পদংশনের ভয় থেকে মানুষের পরিত্রাণের জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা কশ্যপমুনিকে একটি মন্ত্র বা বিদ্যাবিশেষ আবিষ্কার করার আদেশ দেন। ব্রহ্মার আদেশ পেয়ে কশ্যপ যখন মনে মনে এই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন, তখন তাঁর মননক্রিয়া থেকে আবির্ভূত হন এক স্বর্ণবর্ণা দেবী। যেহেতু তিনি মানসজাতা, মন থেকে তাঁর জন্ম, তাই তিনি ‘মনসা’। এই দেবী ‘কামরূপা’, অর্থাৎ ইচ্ছানুযায়ী রূপধারণ ও রূপ পরিবর্তন করতে পারেন।চাঁদ সদাগরের কাছ থেকে পুজো পাওয়ার বাসনায় একের পর এক সমস্যা তৈরি করেন মনসা। তাঁর পুত্র কন্দর্পতুল্য লখিন্দরের প্রাণ সর্পাঘাতে হরণ করেন দেবী। আসলে, মানবসমাজে প্রতিষ্ঠা ও দেবসমাজে স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় দেবী ও মনুষ্যের মধ্যে যে অহংকারপ্রসূত যুদ্ধ, তাই নিয়েই মনসামঙ্গল কাব্য রচিত। জরৎকারু, জগৎগৌরী, মনসা, সিদ্ধযোগিনী, বৈষ্ণবী, নাগভগিনী, শৈবী, নাগেশ্বরী, জরৎকারুপ্রিয়া, আস্তীকমাতা, বিষহরী ও মহাজ্ঞানযুতা— এই দ্বাদশ নাম দেবীর।অনেক নামের মধ্যে দেবীর এক নাম বিষহরী। সর্পবিষ হরণ করার কৌশল দেবীর জানা আছে বলেই এই নাম। মনসাপুজো হয় সাধারণত শ্রাবণ সংক্রান্তি বা আষাঢ়ী পঞ্চমীতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাক। কোথাও কোথাও দেবীর পরিবর্তে দেবীর প্রতীক হিসেবে অনন্ত, বাসুকি, পদ্ম, মহাপদ্ম, তক্ষক, কুলীর, কর্কট, শঙ্খ-র পুজো হয়ে থাকে। রাজধানীর বাজার গুলিতে ক্রেতা বিক্রেতার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে জানা যায় ভিন্ন মত।

তবে জিনিসপত্রের দাম যাই হোক পূজোর আয়োজনে কিন্তু খামতি নেই কারো।  পুজোর আগের দিন থেকেই বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার হুড়োহুড়ি চলছে ঠিকই।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service