জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ১৩ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ডধারী ছাড়া বাকি ৪.৭৫ শতাংশ মানুষকেও নিয়ে আসা হবে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায়। ফলে সরকারি স্বাস্থ্যপরিসেবার বাইরে থাকবে না কেউ। সেই লক্ষ্যে এবারের বাজেটে ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসার জন্য বর্তমানে আর রাজ্যের কোনও মানুষকে গাটের পয়সা খরচ করে বহি রাজ্যে যেতে হবে না। সুপার স্পেশালিটি ব্লকে এখন আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এবং জিবিপি হাসপাতালে সমস্ত রকম চিকিৎসা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান ভারত যোজনা মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার ১৩ লক্ষ আয়ুষ্মান কাঠধারী ছাড়া বাকি ৪.৭৫ শতাংশ মানুষকেও মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসবে। কন্ডিশনের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীরাও এই যোজনার আওতায় আসতে পারবে। সোমবার রাজধানীর এডি নগরস্থিত অরবিন্দ সংঘের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নেশার করাল গ্রাস থেকে যুবসমাজকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগের কথা ও ঘোষণা করেছেন। বলেন এডিক্টেড যুবসমাজকে নেশার করাল গাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে রাজ্যে একটিমাত্র সরকারি নেশা মুক্তি কেন্দ্র ছিল। চলতি বছরের বাজেটে রাজ্য সরকার রাজ্যের ৮ জেলায় আটটি নেশা মুক্তি কেন্দ্র খোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। এ দিনের রক্তদান শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা মিনারানী সরকার, সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। রক্তদান শিবিরে অরবিন্দ সংঘের সদস্য সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।
Leave feedback about this