জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা ১৫০ নম্বর পেয়েছেন অথচ এক কিংবা দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি, সেই ছাত্রছাত্রীরা এবার বসলেন বছর বাঁচাও পরীক্ষায়। ২০২০ সালে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ এর উদ্যোগে ত্রিপুরা বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন রাজ্যে চালু করে বছর বাঁচাও পরীক্ষার। এই বছর বাঁচাও প্রকল্পের ফলে শিক্ষার্থীরা পর্ষদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে কলেজ বা পরবর্তী ক্লাসে প্রবেশের নিশ্চয়তা পাবে। তবে দুটি বিষয়ে ফেল করলেই চলবে না, এই পরীক্ষায় বসার অন্যতম শর্ত হলো বিগত পরীক্ষার ফলাফলে তারা ন্যূনতম ১৫০ নম্বর পেতে হবে। তবেই বছর বাঁচাও পরীক্ষায় বসতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। নিয়ম অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে হলে ফলাফলের ৭৫ দিনের মধ্যে তাদের পুনরায় পরীক্ষায় দিতে হবে। সেই হিসাবে বুধবার থেকে শুরু হলো বছর বাঁচাও পরীক্ষা। আগরতলায় দুটি সেন্টার সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ২৭টি সেন্টারে এদিন এক যুগে শুরু হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা। ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হলো ইংরেজি পরীক্ষা। এবছর এই বছর বাঁচাও পরীক্ষায় বসেন মাধ্যমিকে ৩৭৯৪ জন এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৪১৮৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত এবং উচ্চমাধ্যমিক চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। রাজধানী আগরতলায় নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতন ও ধলেশ্বর কামিনী কুমার সিংহ স্মৃতি বিদ্যালয়ে রয়েছে পরীক্ষার সেন্টার। এক প্রকার কড়া নজরদারির মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠিত হলো পরীক্ষা। শহরের দুটি সেন্টার এদিন পরিদর্শন করে পরীক্ষার সার্বিক দিক খতিয়ে দেখেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব দুলাল দেব।
Leave feedback about this