2024-12-19
agartala,tripura
অপরাধ

চাঞ্চল্যকর বোধিসত্ত্ব হত্যা মামলার সাজা ঘোষণা শনিবার

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মৃত্যুদণ্ড নাকি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ? চাঞ্চল্যকর বোধিসত্ত্ব হত্যা মামলার রায় শোনা যাবে, শুক্রবার বেলা বারোটায়। হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলবে সন্তান হারা মায়ের। রাজধানীর চাঞ্চল্যকর বোধিসত্ত্ব হত্যা মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন সন্তানহারা অসহায় মা তিন বছরের মধ্যেই স্বামী এবং সন্তানকে হারিয়ে এখন অনাথবোধিসত্ত্ব দাসের মা রঞ্জনা দাস। ব্যাংক ম্যানেজার ছেলে বোধিসত্ত্বকে 2019 সালের ৩ আগস্ট রাতে। শহরের জেকশন গেটে নৃশংস ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। ১৯১৯ সালেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ইউকো ব্যাংক ধর্মনগর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার বোধিসত্ত্ব। এই খুনের ঘটনায় যে চারজন অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে একজন ছাড়া প্রত্যেকেই প্রভাবশালী ও নামিদামি ব্যক্তি। ৪ অভিযুক্তরা হল সুমিত চৌধুরী, কলেজ টিলা এলাকার ঠিকেদার সুমিত বণিক, ট্রাফিক পুলিশের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস এবং শোয়েব মিয়া। এই মামলার স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক জানান, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২৩৪ ধারায় খুন এবং সঙ্ঘবদ্ধভাবে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বলে রায় দিয়েছে আদালত। শনিবার বেলা বারোটায় আদালত মামলার সাজা ঘোষণা করবেন। স্পেশাল পিপি সম্রাট ভৌমিক আরও জানান, এই মামলায় তিনজন পুলিশ আধিকারিক তদন্তক্রমে তিন মাসের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করেছিল। কিন্তু সাক্ষীদের মধ্যে প্রধান দুই সাক্ষী আদালতে কিছুই দেখে নেই শুনেনি বলে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন মামলাটি গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৫৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণের পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। স্পেশাল পিপি জানান, এর মধ্যে দুইজন সাক্ষী আদালতকে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা গ্রহণ করেছে। শনিবার সাজা ঘোষণা দেওয়ার পর হয়তো আদালত মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রসঙ্গত প্রভাবশালী কোটিপতি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে ছাওয়াল শুরুর আগে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা উঠতে থাকে। এই মামলার লড়াই করা দুই আইনজীবী মৃণাল কান্তি বিশ্বাস এবং কৃষ্ণেন্দু দের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানা মামলা হয়। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগে এই মামলায় দুই আইনজীবী 22 মার্চ আদালত থেকে জামিনু নেয়। উল্টো দিকে স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক সহ তার জুনিয়রদের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলার নোটিশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মামলা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। এক দফা ৪ কোটিপতি অভিযুক্ত জামিনও পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপর উচ্চ আদালতে সরকার পক্ষ চারজনের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে। উচ্চ আদালত চারজনেরই জামিন বাতিল করে দেয়। তারপর সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশেই জেলা দায়রা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। শনিবার হবে মামলার সমাপ্ত।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service