জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভারত -চিন সীমান্তে ফের নিজেদের প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে শি জিংপিং-এর দেশ। অরুনাচলের বেশকিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে ১১টি জায়গার নান পরিবর্তন করেছে চিন। নান পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এই তৃতীয়বারের মত চিন অরুণাচল প্রদেশের স্থানগুলির ‘নাম পরিবর্তন’ করেছে। যেটিকে তারা “জাংনান, তিব্বতের দক্ষিণ অংশ” বলে উল্লেখ করেছে।চিনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক গতকাল চিনা, তিব্বতি এবং পিনয়িন অক্ষরে নামগুলির একটি সেট প্রকাশ করেছে। দাবি করেছে যে রাজ্য কাউন্সিল, চিনের মন্ত্রিসভা দ্বারা জারি করা ভৌগোলিক নামের বিধান অনুসারে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের অধীনস্থ প্রশাসনিক জেলাগুলির সঙ্গে চিনের প্রকাশিত নামের তালিকায় রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি ভূমি এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা এবং দুটি নদী। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি অরুণাচল প্রদেশের জন্য ভৌগলিক নামের তৃতীয় ব্যাচ যা চিনের নাগরিক বিষয়ক মন্ত্রক দ্বারা জারি করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ছয়টি স্থানের প্রথম ব্যাচ এবং ২০২১ সালে ১৫টি স্থানের দ্বিতীয় ব্যাচ ঘোষণা করা হয়। এই ধরনের প্রথম দুটি তালিকা ২০১৮ এবং ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। চিন ২০১৭ সালে ছয়টি নামের তালিকা জারি করেছিল, যখন ২০২১ সালে এটি অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি স্থানের ‘নাম পরিবর্তন করেছিল।তবে নয়াদিল্লি উভয় সময়েই চিনের দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং জোর দিয়েছিল জানিয়েছিল অণাচলচল “সর্বদা” ভারতের ছিল এবং “সর্বদা” ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। ২০২১ সালে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, “চিন অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের স্থানগুলির এমন নামকরণের চেষ্টা এই প্রথম নয়।” তিনি বলেছিলেন, “অরুণাচল প্রদেশ সর্বদাই ভারতের ছিল, এবং সর্বদাই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। অরুণাচল প্রদেশের স্থানগুলিতে উদ্ভাবিত নাম দেওয়া এই সত্যকে পরিবর্তন করে না।” তবে চিনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি গ্রুপ অব প্রকাশনার অংশ দ্য গ্লোবাল টাইমসের মতে, চিনা কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপকে ‘মানসম্মত ভৌগলিক নাম’ বলে অভিহিত করছে।
দেশ
ভারত -চিন সীমান্তে ফের নিজেদের প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে শি জিংপিং-এর দেশ
- by janatar kalam
- 2023-04-04
- 0 Comments
- Less than a minute
- 2 years ago
Leave feedback about this