জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে দেশ। বিশ্বমঞ্চেও পৌঁছে গিয়েছে সেই প্রতিবাদের ভাষা। এবার সেই বিক্ষোভের চাপে পড়েই কিছুটা পিছু হটতে শুরু করল ইরান সরকার। দশকের পর দশক ধরে ইরানে যে হিজাবের আইন চলে আসছে, তা নিয়েই পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। বিগত দুই মাস ধরে দেশে হিজাব বিরোধাী আন্দোলন চলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ই গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এরপরই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে দেশে। একের পর এক শহরে হিজাব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মহিলারা নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। সরকার বিরোধী স্লোগান ও আন্দোলন বন্ধ করতে কঠোর অবস্থান নেয় ইরান সরকারও। আন্দোলনকারীদের কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানানো হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে, গুলিতে এখনও অবধি ৪০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও দমেনি আন্দোলন। সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপের মঞ্চেও ইরানের ফুটবল টিম ও সমর্থকদের হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানাতে দেখা যায়।
এই বিরূপ পরিস্থিতিতেই ইরান সরকার এবার হিজাবের নিয়ম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে। হিজাব আইনে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়েও পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্টাজ়েরি বলেন, “সংসদ ও আইনবিভাগ এই নিয়ে কাজ করছে।”
জানা গিয়েছে, বুধবারই ইরানের সংস্কৃতি কমিশনের বৈঠক বসে। আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শনিবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি জানান, ইরানের রিপাবলিকান ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি এই বিষয় (হিজাব আইন পরিবর্তন) নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। তবে সংবিধানের এমন কিছু নিয়ম আছে, যা পরিবর্তন করা সহজ নয়।
Leave feedback about this