2024-12-19
agartala,tripura
রাজ্য

নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য তেলিয়ামুড়া প্রশাসনের

জনতার কলম ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব’র “নেশামুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার স্বপ্ন সত্যি যে এক কল্পনীয় স্বপ্নই থেকে যাবে ; বাস্তবের মাটিতে যে তা কোনদিনই পূরণ হবে না সেটা আর বলার মতো অপেক্ষাই রইলো না । বর্তমানে করোণা রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে কিন্তু থেমে নেই নেশা ও গাঁজা মাফিয়াদের নেশার রমরমা বাণিজ্য প্রকৌশল । উল্লেখ্য, প্রায় বরাবরের মতোই গাঁজা বিরোধী অভিযানে নেমে নেশা বিরোধী অভিযানের সাফল্যের খাতায় একপ্রকার জায়গা করে নিয়েছে মুঙ্গিয়াকামী থানা । আবারো গাঁজা বিরোধী অভিযানে নেমে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ফের একবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরন জমাতিয়ার নেতৃত্বে বিরাট সাফল্যের খাতায় মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ বাবুরা । উল্লেখ্য, একটি ৬ চাকার “TATA” মালবাহী গাড়ি যার নম্বর AS 02 E 9503 তে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ প্যাকেট তথা ৩৫০ কেজি অবৈধ শুকনো গাঁজার প্যাকেট । যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার কাছাকাছি । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল তথা ১৫-ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের গভীর রাতে আনুমানিক ১২ টা ৪০ মিনিট নাগাদ মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন বাজার সংলগ্ন এলাকায় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর ভেহিকেল চেকিং করতে বসে মুঙ্গিয়াকামী থানার ওসি দ্রেবাজয় রিয়াং-র নেতৃত্বে মুঙ্গিয়াকামী থানার অন্যান্য পুলিশ, “TSR” ও “CRPF” বাহিনী । ঠিক এমন সময়েই তেলিয়ামুড়ার দিক থেকে একটি “TATA” মালবাহী ৬ চাকার গাঁজা বুঝাই গাড়িটি তীব্র গতিতে ছুটেছিল । কিন্তু মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভেহিকেল চেকিংয়ে বসে থাকা পুলিশ বাহিনীর কাছে আসতেই মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ বাবুদের গাড়িটির গতি অভিমুখ দেখে সন্দেহ হওয়ায় এই মালবাহী ৬ চাকা গাড়িটিকে দাঁড় করায় । তৎসঙ্গে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ বাবুরা গাড়িটিতে উঠে ও গাড়িটির চারপাশে দফায় দফায় তল্লাশি চালায় । পুলিশি অভিযান চলাকালে এই মালবাহী ৬ চাকা গাড়িটির “UNDER-GROUND”এ নির্মিত ভিন্ন “স্ট্রং” রুম থেকে উদ্ধার হয় ৩০ প্যাকেট তথা ৩৫০ কেজি অবৈধ শুকনো গাঁজার প্যাকেট । যার বাজারমূল্য প্রায় আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায় । সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় গাড়ির চালক ও সহ-চালককে । জানা যায়, চালক উমেশ রায়, বাড়ি বিহার, ও সহ-চালক বাবু বিশ্বাস, বাড়ি আসাম রাজ্যে । সঙ্গে সঙ্গেই খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থেকে ঘটনাস্থল মুঙ্গিয়াকামীতে ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া । পরবর্তীতে পুলিশি টহলদারির মধ্যে দিয়ে চালক ও সহ চালক সহ এই গাড়িটিকে আটক করে মুঙ্গিয়াকামী থানায় নিয়ে আসা হয় । এইদিকে পরবর্তীতে এই গাড়িটি থেকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আরও একটি অবৈধ নম্বর প্লেট উদ্ধার করে । তবে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এই অবৈধ গাঁজার প্যাকেটগুলো রাজধানী আগরতলার বাইপাস থেকে এই গাড়িটিতে লোডিং করা হয় ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে । এখন প্রশ্ন হলো, যদি এই গাঁজা গুলো রাজধানী আগরতলার বাইপাসেই গাড়িতে লোডিং করা হয়ে থাকে তাহলে এই গাঁজা বুঝাই গাড়িটি জাতীয় সড়কের পাশে “ল্যাম্প পোষ্টে”র মত দাঁড়িয়ে থাকা এতো এতো থানা ও আউটপোস্ট কিভাবে পেড়িয়ে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ বাবুদের হাতে এসে ধরা পড়লো, তাহলে কি শহরের থানাগুলো এখনও শীতঘুমে আচ্ছন্ন – নাকি দফা-রফা । এই নিয়ে কিন্তু বুদ্ধিজীবি মহলজুড়ে রীতিমতোই প্রশ্নের গুচ্ছ দেখা দিয়েছে । আবার এইদিকে আজ সকালেই আটককৃত দুই জন চালক ও সহ-চালককে খোয়াই আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায় । এইদিকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফের একবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার নেতৃত্বে নেশা বিরোধী অভিযানের সাফল্য খুশির হাওয়া বিরাজ করছে তেলিয়ামুড়ার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলজুড়ে ।।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service