জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক যান চালকের। তার নাম লক্ষণ দাস। বয়স ৩৬ বছর। তার বাড়ি উদয়পুর মহকুমার মাতাবাড়ি বিধানসভার হীরাপুর এলাকায়। তার জলে ডুবে থাকার দৃশ্যটি প্রথমে দেখতে পায় তার বড় ভাই হিমা দাস। ঘটনার বিবরণে লক্ষণের স্ত্রী অনিতা এবং বড় ভাই জানায় শনিবার দুপুরের খাবার খেয়ে পাড়ার কয়েকজন কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে সাদা বক পাখি শিকার করতে বেরিয়ে পড়ে লক্ষণ। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে তারপর সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হয়ে গেল। লক্ষণের সঙ্গে যাওয়া কিশোর সাথীরা বাড়িতে ফিরলেও লক্ষণ বাড়িতে ফিরেনি। বৃষ্টির কারনে মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে যায় লক্ষণ। লক্ষণ কোথায় আছে তাই যোগাযোগ করতে পারছিলনা তার স্ত্রী অনিতা। রাত ঘনিয়ে আসছে স্বামী তো ফিরছেনা। নিরুপায় হয়ে অনিতা পাশের বাড়িতে থাকা তার ভাসুর হিমা দাসের ঘরে ছুটে যান। হিমা অন্য ভাই এবং ভাতিজাদের নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চতুর্দিকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও লক্ষণের খোঁজ মিলেনি। রবিবার ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে বড় ভাই হিমা মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখতে পায় তাদের নিজের পুকুরের জলে ভেসে আছে লক্ষণ। হিমার ডাক চিৎকারে বাড়ির সবাই ছুটে এসে পুকুর থেকে লক্ষণের ভাসমান দেহ তুলে আনে বাড়িতে। ততক্ষণে লক্ষণের মুখমন্ডল সহ দেহের বেশ কিছু অংশ মাছ এবং পোকামাকড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। খবর পেয়ে মহারানি ফাঁড়ির পুলিশ ছুটে এসে লক্ষনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য গোমতী জেলা হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রফিক মিয়া। সমাজ সেবি নারায়ণ দাস, মুস্তাক হোসেন চৌধুরী সহ আরো অনেকে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
Leave feedback about this