জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বুধবার আমরা বাঙালি সদর কার্যালয়ে আমরা বাঙালি পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবীকে সামনে রেখে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিনের সম্মেলনে আমরা বাঙালি দলের সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন আত্মসমর্পণকারী বৈরী গোষ্ঠীর ২১ দফা দাবিতে রাস্তা অবরোধে তীব্র নিন্দা জানান।
এদিন তিনি বলেন একটানা ৭ ঘন্টা অবরোধ শেষে প্রশাসনিক কর্তাব্যস্টিদের প্রতিশ্রুতি প্রদানের পর বৈরীগণ রাস্তা অবরোধমুক্ত করলেও তাদের দাবী পূরণ না হলে ভবিষ্যতে তারা নাকি আরও বড় আন্দোলন করবে বলে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এছাড়া তিনি এদিন আরও বলেন রাজ্যবাসীর স্মরণে রয়েছে অতীতের বাঙালী বিদ্বেষী সেংক্রাক পার্টির কথা ৮০ জুনের বিভৎস্য গণহত্যার ধ্বংসলীলা, এটিটিএফ, এনএলএফটির মতো বৈরী সংঘটনের মাধ্যমে অপহরণ, হাজার হাজার মানুষ খুন, ধর্ষণ, গৃহদাহ, লুণ্ঠনসহ এডিসির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নিরপরাধ অসহায় লক্ষ লক্ষ বাঙালীদের বিতাড়নের দৃশ্য। আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে বার বার দাবী জানানো সত্ত্বেও কাদের ষড়যন্ত্রে বা কাদের পাপের ফলে এরাজ্যে আশির জুনের গণহত্যা সংঘটিত হলো তা উদ্ধারের জন্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়নি।
তৎকালীন কমিউনিষ্ট সরকার বার বার আত্মসমর্পন নাটকের মাধ্যমে উগ্রবাদীদের কোটি কোটি টাকা, বিভিন্ন সরকারী পদ পাইয়ে দিয়ে শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো উগ্রপন্থী সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারও ভোটব্যাংকের রাজনীতি করতে গিয়ে বাম ও কংগ্রেসের মতো উপজাতি তোষণনীতি চালিয়ে যেতে চাইছে বলে জানান। তাই আমরা বাঙালি দলের পক্ষ থেকে চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে যার নিম্নরূপ :-
১। বিচার বিভাগীয় তদন্তকমিশন গঠন করে ৮০ জুনের গণহত্যাসহ পরবর্তী সমস্ত গণহত্যায় যুক্ত দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা।
২। ৮০-র জুন ও তৎপরবর্তী গণহত্যায় নিহত-আহত-ক্ষতিগ্রস্ত জাতি-উপজাতি সকল অংশের মানুষের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দিয়ে স্বস্থানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।
৩। ত্রিপুরার সমস্ত প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদ কাজে লাগিয়ে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ণ পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি।
৪। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে ত্রিপুরাতে বাঙালীদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
Leave feedback about this