জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ব্যর্থ রাজীব! সাফল্যে তাপস! কথায় আছে চোরের দশ দিন তো গৃহস্থের এক দিন! আর আজ এই প্রবাদটাই যেন সত্যি হয়ে দেখা দিলো গতকাল সোমবার সরস্বতী পুজোর গভীর রাতে সদর রাজধানী আগরতলার রেল স্টেশন চত্বরে। দীর্ঘ বছর যাবৎ তেলিয়ামুড়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি রাজীব দেবনাথের থানাকে হাতের তর্জমায় বন্ধ রেখে গোটা তেলিয়ামুড়া মহকুমায় নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারলেও সদর রাজধানী আগরতলার রেল পুলিশকে হাতের তর্জমায় বন্ধ করে রাখতে পারে নি তেলিয়ামুড়ার নেশা বাণিজ্যকারী গেরুয়া শিবিরের নেতা চাঁন মিয়া।
খাকি উর্দির সম্মান কিভাবে উঁচিয়ে রাখতে হয় সেটা যেন আরও এক বার প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিলেন আগরতলার GRP থানার দায়িত্বশীল ওসি তাপস দাস। অবশেষে নেশা বাণিজ্য পাচার করতে গিয়ে আগরতলা রেল পুলিশের হাতে আটক হলো তেলিয়ামুড়ার প্রথম সারির বিজেপি নেতা চাঁন মিয়া সহ আরো এক ছত্র গেরুয়া শিবিরের নেতা।
জানা গেছে আটককৃত নেশা সামগ্রীর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে প্রাথমিক সূত্রে অনুমান। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গতকাল সোমবার দিনভর ছিল রাজ্য জুড়ে বাগদেবীর আরাধনা। আর সেই লক্ষ্যে গোটা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের তীক্ষ্ণতাও ছিল সেই দিকেই। আর সেই সময়টাকেই রাজ্যের এক ছত্র গেরুয়া নেশা বাণিজ্য পাচারকারীরা তাদের নেশা বাণিজ্য পাচারের মূল সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
আর সেই মোতাবেক গতকাল সরস্বতী পুজোর গভীর রাতে যখন একছত্র নেশা বাণিজ্যকারী রাজধানী আগরতলার রেল স্টেশন চত্বরে নেশা পাচার কারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ঠিক সেই সময়েই আগরতলার GRP থানার ওসি তাপস দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী নেশা বাণিজ্য পাচার কেন্দ্রে হানা দেয়। তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি সাদা রঙের নিষিদ্ধ কফ সিরাপের কার্টুন উদ্ধার করে।
সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় নেশা বাণিজ্য পাচারকারীর ৯ জন মাথা’কে। যাদের নাম হলো- তেলিয়ামুড়ার প্রথম সারির বিজেপি নেতা চাঁন মিয়া – বিশালগড়ের মাজারুল ইসলাম – অমরপুরের প্রসেনজিৎ দাস – খোয়াইয়ের আক্তার হোসেন – আগরতলার রাজীব সূত্রধর – ছোটন দেব ও সুমন মিয়া – বিহার ও উত্তরপ্রদেশের অমিত কুমার শ্রী’বাস্তব এবং চিন্টু যাদব।
GRP থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আটককৃত নিষিদ্ধ কফ সিরাপের বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার উপর হবে বলে প্রাথমিক সূত্রে অনুমান । এই দিকে আটককৃত নেশা পাচারকারী উক্ত ৯ জনকেই আগামীকাল সুষ্ঠু সমাজ ও বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের দায়ে আইনের কঠোর শাস্তির নিরিখে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে । তবে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আটককৃত এই ৯ জন গেরুয়া শিবিরের ব্যক্তিই রাজ্যের নেশা বাণিজ্যের মাথা হিসেবে শেষ নয়! এদের মাথার উপর রাজ্যের আর কোন কোন শীর্ষের আশীর্বাদ রয়েছে ওই শীর্ষস্ত নেশা বাণিজ্য পাচারকারীকে জালে তুলতে রাজ্য পুলিশ আদৌও কতটা সচেষ্ট হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়!
Leave feedback about this