জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বর্তমান ইলেকট্রিক লাইটিংও মোমের বাজারে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির প্রদীপ । তবুও কুমোর পাড়ায় একটু লাভের আশায় ঐতিহ্য ধরে রাখছে শিল্পীরা । তবে বাজারে নেই তেমন চাহিদা ।বর্তমান অত্যাধুনিক সভ্যতার যুগে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের অনেক কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য । বিলুপ্তপ্রায় হতে বসেছে হাল আমলের মাটির প্রদীপ । একটি সময় যখন বাজারে মাটির প্রদীপের ছড়াছড়ি ছিল তখন কোমরদের মুখে ফুটে উঠত হাসি । বর্তমানে ইলেকট্রিক লাইটিং ও মোমের বাজারে মাটির প্রদীপ যেন পিদ্দিমের আলো হয়ে গেছে ।পুরানে কথিত আছে মাটির প্রদীপে ঘি ঢেলে প্রজ্জলন করলে ইষ্ট দেবতারা নাকি খুশি হন । কিন্তু বর্তমান অত্যাধুনিক সভ্যতার মানুষের কাছে ইলেকট্রিক লাইট ও মোমবাতিতেই যেন খুশি হন ভগবান । যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভগবানও যেন অত্যাধুনিক হয়ে উঠছে । তাই হয়তোবা মাটির প্রদীপের দিকে ঝুঁকিটা অনেক কম । একটা সময় দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবের আগে আনন্দে নেচে উঠত কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা । কেননা দীপাবলি উৎসব এর আগে অনেকটা বাড়তি রোজগার হবে তাদের । আজ যেন সেই কুমোর পাড়ায় একটা নিস্তব্ধতার ছায়া । মুখে একরাশ হতাশা নিয়ে জনৈক কোমর গৃহিণী জানান , এখন আর আগের মত ব্যবসা নেই , মাটির প্রদীপের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে । যাই বিক্রি হচ্ছে তাও লাভের অংকটা জোৎস সামান্য । এই আয়ে সংসার প্রতিপালন করা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য ।
এদিকে সরকারি উদ্যোগে মাটির জিনিসের ব্যবহারের উপর প্রচার ও প্রসারের আবেদন রেখেছেন জনৈক্য বেকার কোমর যুবক । তার মতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে হয়তোবা আবার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে মৃত পায়ে এই মৃৎ শিল্পটিকে ।প্রসঙ্গত প্রতিবছর দীপাবলি ও গারোই উৎসবে ধর্মপ্রাণ মানুষ সংসারের মঙ্গল কামনার্থে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে থাকে । আধুনিক সভ্যতায় কেউ কেউ আবার ইলেকট্রিক লাইট এর মাধ্যমে আলোকসজ্জা করে বাড়িতে ।অনেকে আবার প্রদীপ জ্বালানোর ঝামেলা বাদ দিয়ে রেডিমেট মোম জ্বালিয়ে দিতে ভালোবাসে । তবে একেবারেই হারিয়ে যায়নি প্রদীপের ব্যবহার । এখনও কিছু কিছু বাড়িতে ধর্মপ্রাণ মানুষ নিষ্ঠা সহকারে ঘি কিংবা সরিষার তেল দিয়ে প্রদীপ প্রজনন করে ।
Leave feedback about this