জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দেশভক্তির ভাবনাকে সুদৃঢ় করতে সারা দেশের সাথে রাজ্যেও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে ২০২২ সালে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির সূচনা করেন। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয় পতাকার সঙ্গে শ্রদ্ধার সংযোগ তৈরি করা। দেশপ্রেম ও দেশের মুক্তির সংগ্রামে যারা আত্মবলিদান করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। আজ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে হর ঘর তিরঙ্গা র্যালি, ২০২৫ এর সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, জাতীয় পতাকা দেশবাসীর গর্ব। আমাদের দেশাত্ববোধের পরিচায়ক ও রাষ্ট্রীয় চেতনার অনুভূতি। প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হল জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি ২ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ২ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের সকলস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের দেওয়াল অঙ্কন ও বিদ্যালয় সজ্জা, তিরঙ্গা রাখী তৈরির প্রতিযোগিতা, তিরঙ্গা র্যালি, প্রদর্শনী স্টল, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য শিবির, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে তিরঙ্গা মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিরঙ্গা মেলা ও তিরঙ্গা কনসার্ট। তৃতীয় পর্যায়ে ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি উদযাপন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি সফল করে তুলতে রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মহকুমা, পুরনিগম সহ রাজ্যের সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, আজকের এই হর ঘর তিরঙ্গা র্যালি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাপ্ত হয়। র্যালির শেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে তিরঙ্গা মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং হলে তিরঙ্গা কনসার্টে উপস্থিত হন এবং তা উপভোগ করেন।
তিরঙ্গা র্যালিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধানসভার সদস্য দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের জনগণ।
Leave feedback about this