জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মন্ত্রী টিংকু রায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে সি.পি.আই.এম দলে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নয় জানুয়ারি মংগলবার বিকেলে ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডে বিজেপি দলের এক ঘরোয়া সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ঘরোয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর, বিজেপি নেতা তথা ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, বিজেপি ৫২-চন্ডীপুর মন্ডলের সহ সভাপতি হিমাংশু দাশ, বিজেপি নেতা দুলাল কৃষ্ণ দাস, বিনয় সিনহা, কর্ণজিত সিনহা, নির্মল দাশ, রতন দাস সহ আরও অনেকে।
মূলত হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নৃপেন্দ্র দাসের বাসভবনে দলীয় এই ঘরোয়া সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয় এই ঘরোয়া সভায় দীর্ঘদিনের সি.পি.আই.এম দলের পোড়খাওয়া কর্মী সমর্থকরা প্রায় ত্রিশ জন ভোটার সি.পি.আই.এম দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে সামিল হয়েছে। দলত্যাগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলো নৃপেন্দ্র দাস, সোমেন্দ্র দাস, রাকেশ দাস এবং বলরাম দাস। এরমধ্যে নৃপেন্দ্র দাস বাম আমলে হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা তথা ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় বলেন যে, এই হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি দলের অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। এই হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিপুরা রাজ্যকে দিশা দেখিয়েছিলো বলেও জানান।
কুড়ি থেকে পঁচিশ বছর পূর্বে বিজেপি দলের যারা সমর্থক ছিলেন কিংবা যারা বিজেপি দলটাকে ভালোবাসতেন তাদেরকে সি.পি.আই.এম দল অস্পৃশ্য করে রাখতো। তাদের সাথে গ্রামের কেউ কথা না বলার জন্য হুলিয়া জারি করতো। সেই কুড়ি পঁচিশ বছর পূর্বেও এই হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে বিজেপি দলের প্রার্থীরা দুই ভোটে কিংবা তিন ভোটে পরাজিত হতেন। সেইসময় এত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৭সালের প্রথম দিকে হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে উপ নির্বাচন হয়েছিলো।
সেই উপ নির্বাচনে বিজেপি দলের তৎকালীন রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং তৎকালীন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি বর্তমান মন্ত্রী টিংকু রায় এরা দুজনেই হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ নির্বাচনে এসে প্রচার করেছিলেন এবং উপ নির্বাচনে বিজেপি দলের প্রার্থী জয়লাভ করে ত্রিপুরা রাজ্যকে দিশা দেখিয়েছিলো। যা পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বাম সরকারকে উৎখাত করে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছিলো বলেও জানান সন্দীপ দেবরায়
Leave feedback about this