2025-11-24
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য

সর্দার প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তীতে ত্রিপুরায় ইউনিটি মার্চ; একতার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- স্বাধীনতা লাভের পর ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার অন্যতম স্তন্ত ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। দেশপ্রেম, সার্বভৌমত্ব, একতার চেতনাকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্মরণে সারা দেশে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালিত হচ্ছে। লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ইউনিটি মার্চের শুরুতে আজ একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউনিটি মার্চ আজ সকালে সার্কিট হাউস সংলগ্ন গান্ধী মূর্তি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ঊষাবাজারের সুখময় স্কুল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, দেশের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিন ৩১ অক্টোবর দেশে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালিত হয়। দেশের একতা অখন্ডতা রক্ষায় সর্দার বল্লভ ভাই যে ভূমিকা পালন করেছেন সেটা যাতে কোনও মতে দেশবাসী ভুলে না যায় তারজন্য রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালন করা হয়। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল প্রায় ৫৬২টি রাজন্য শাসিত অঞ্চলকে দেশের সঙ্গে একত্রিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০১৪ সালে সর্দার বল্লভ ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রান ফর ইউনিটি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং ২০১৮ সালে গুজরাটের নর্মদা নদীর তীরে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি স্থাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা বলেন, দেশকে শক্তিশালী, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলায় বল্লভ ভাইয়ের আদর্শে যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সর্দার@১৫০ চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের অখণ্ডতা নষ্ট করার জন্য দেশের ভিতরে এবং বাইরে কিছু অশুভ শক্তি কাজ করছে। যুব সমাজকে তার মোকাবিলায় সর্বদা সজাগ থাকা দরকার। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য রক্ষায় একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা বলেন, গত ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের মাই ভারত পোর্টালের মাধ্যমে সর্দারইয়ং লিডার ডিজিটাল পোর্টালের সূচনা করা হয়। দেশের যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে সর্দার ইয়ং লিডার প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেশামুক্ত ভারত গঠনের লক্ষ্যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এই নীতি রাজ্যেও গ্রহণ করা হয়েছে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, ভোকাল ফর লোকাল অর্থাৎ দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহারের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে এবং জি.ডি.পি. বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। বর্তমান রাজ্য সরকারও বিকশিত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে একতার শপথ বাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক বিশাল কুমার, পশ্চিম ত্রিপুরার সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ নমিত পাঠক, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল, ডার্লং, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার প্রমুখ।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service