জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রতিটি মানুষের জীবনই মূল্যবান। রাজ্যের বর্তমান সরকার এবং পরিবহণ দপ্তর এই ভাবধারা নিয়েই কাজ করে চলছে। আজ সচিবালয়ের ৩ নং কনফারেন্স হলে রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ১৬তম বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। আজ ১৬তম রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা বৈঠকে সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়াও আগামীতে পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে ‘সড়ক দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ২০২৫’ বাস্তবায়ন নিয়েও একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা ও জনসচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমেই সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি দপ্তরের উদ্যোগে ইন্টার সেপ্টর ভেহিক্যাল (লাইফ সাপোর্ট পরিষেবা), পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, হিট অ্যান্ড রান স্কিম, গুড সামারিটন স্কিম ইত্যাদির কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গতবছর রাজ্যে দুর্ঘটনার হার ১৩ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, ভারত সরকারের দিক নির্দেশনায় রাজ্য সরকারও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের পাশাপাশি জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘সড়ক দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ২০২৫’ চালু করা হবে। এই প্রকল্পে দুর্ঘটনার প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে তথা গোল্ডেন আওয়ারে ব্যক্তিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং তাঁর জীবন বাঁচানোর কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক সহায়ক অনুদান।
বৈঠকে তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সহ ট্রাফিক দপ্তরের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের প্রচেষ্টার পাশাপাশি মানুষের ইতিবাচক সচেতনতায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা হলে মানুষের দায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আশাব্যক্ত করেন আগামীদিনে রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।
বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘সড়ক দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ২০২৫’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচির উপরও আলোকপাত করেন। আজকের বৈঠকে এছাড়াও পরিবহণ দপ্তরের সচিব ইউ. কে. চাকমা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো, কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, ডি. আই, জি. মনচক ইল্লার, ট্রাফিক পুলিশের এস. পি. কান্তা জাঙ্গির সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ এবং পরিবহণ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
Leave feedback about this