জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- নৃশংসতা আর পাষন্ডতা কাকে বলে তার সংজ্ঞা দেওয়ার মত ভাষা আর নেই । বর্বরতার চূড়ান্ত শিকার যুবক । রীতিমত বিবস্ত্র করে শরীরের চামড়া ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক যুবককে । কদমতলা থানাধীন সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক যুবককে বিবস্ত্র করে মেরে গোটা শরীর ফাটিয়ে রক্তাক্ত করল দুই যুবক।ঘটনার নেপথ্যে ছিল শুধুমাত্র একটি মেয়ে সংক্রান্ত তিক্ততা। এ নিয়ে রানিবাড়ি এসপিও ক্যাম্পের আই সি সঞ্জয় মুন্ডা জানান,শনিবার দুপুর প্রায় বারোটা নাগাদ তার কাছে খবর আসে সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের রানী বাড়ি এলাকার বাসিন্দা কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের বাড়িতে এক যুবককে ঘরের পালার সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করছে দুই যুবক। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এসপিওরা ।ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে জওয়ানরাও । কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের ছেলে দৈত্য ও তার এক সহযোগী মিলে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নং ওয়ার্ডের ২৭ বছরের যুবক অনুপ দাস কে বিবস্ত্র করে বেধড়ক ভাবে মারধর করছে।আর সেই মারে অনুপের গোটা শরীর ফেটে রক্ত পড়ছে।তড়িঘড়ি আহত যুবককে উদ্ধার করে একটি কাপড় দিয়ে তার লজ্জা স্থান ঢেকে কদমতলা হাসপাতালে এম্বুলেন্সেকরে নিয়ে যায়।সেখান থেকে আহত যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে।প্রসঙ্গত আক্রমণকারী দৈত্যের বোনের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকার কারনে সে এদিন প্রেমিকার বাড়িতে দেখা করতে যায় । আর তখনই তার উপর এমন বর্বর আক্রমণ করা হয়।আহত যুবকের পিতা সমরেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় অসমের বাজারিছড়ায় ছিলেন।পরে খবর পেয়ে এসেছেন। তিনি কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে আহত যুবক বর্তমানে গুরুত্বর অবস্থায় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।সে কথাবার্তা বলতে পারছে না বলেও খবর। অপরদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করেছে কদমতলা থানার পুলিশ।তবে এব্যাপারে পুলিশ মুখ খুলতে নারাজ।গোটা ঘটনায় রানী বাড়ি এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।দাবি উঠেছ অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি প্রদানের। প্রসঙ্গত গত জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর শহরেই এক যুবককে মেরে রক্তাক্ত করে ক্ষত স্থানে লবন ও লঙ্কা গুঁড়ো লাগিয়ে দিয়েছিল । সেই ঘটনা এখনো ভুলেনি মানুষ ।
Leave feedback about this